বান্দরবানে কয়েক ঘন্টার মধ্যে আবারো গুলি ছুড়ে আরো দুই ব্যাংকে ডাকাতি

বান্দরবানের রুমায় ভল্ট থেকে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুটের কয়েক ঘন্টা পর এবার থানচিতে সোনালী এবং কৃষি ব্যাংকের শাখায় ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে থানচি বাজারে দুটি চাঁদের গাড়িতে পাহাড়ের অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা এসে দুই ভাগে ভাগ হয়ে থানচি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী ব্যাংক ও বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ভেতরে ঢুকে। এ সময় সন্ত্রাসীরা দুই ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি কক্ষে বন্দি করে। এরপর সোনালী ব্যাংক থেকে নগদ ১৫ লাখ টাকা ও কৃষি ব্যাংকে গ্রাহকের আড়াই লাখ টাকা ও বেশকিছু মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

বিষয়টি নিরাপত্তারক্ষী ও পুলিশের নজরে এলে তারা প্রতিহতে এগিয়ে যায়। এ সময় ডাকাতরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পালিয়ে যান। এ ঘটনার পর থেকে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এ ছাড়া ঠিক কি পরিমাণ টাকা তারা লুট করেছে তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি।

বান্দারবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, দুটি গাড়িতে অস্ত্রধারীরা এসে হামলা চালিয়েছে। তবে এটা ডাকাতির উদ্দেশ্যে হামলা কিনা সেটা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি করেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা।

এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতি করে ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করে সন্ত্রাসীরা। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট থেকে এক কোটি ৫৯ লাখ টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ঘটনায় রুমা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল জানান, কেএনএফের শতাধিক সদস্য এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে ব্যাংক লুট করে এবং পুলিশ ও আনসার সদস্যদের ১৪টি অস্ত্র লুট করে। এসময় সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।