বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকের টাকা নিতে পারেনি সন্ত্রাসীরা

বান্দরবানের রুমায় সোনালী ব্যাংকে ডাকাতির সময় মূল ভল্ট ভাঙতে পারেনি সন্ত্রাসীরা। বরং অন্য ভল্ট ভেঙেছিল। ফলে সেখান থেকে টাকা নিয়ে যেতে পারেনি তারা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর ক্রাইম সিন টিমের এক তদন্ত কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা হামলা করে ব্যাংকের শাখায় লুটপাট চালায়।

পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে ওই সময় জানা যায়, সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ভল্ট থেকে ১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা লুট করেছে। এ সময় ব্যাংকের ম্যানেজার ও নিরাপত্তায় থাকা ১০ পুলিশ সদস্য ও ৪ আনসার সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

তবে ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর বুধবার বিকালে এক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকের অন্য ভল্ট ভেঙেছিল সন্ত্রাসীরা। তবে মূল ভল্ট ভাঙতে না পারায় ব্যাংকের টাকা সুরক্ষিত আছে।

এদিকে, অপহৃত ব্যাংক ম্যানেজার নিজাম উদ্দিনের সন্ধান এখনও মেলেনি।

বুধবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান বান্দরবান জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন।
এ সময় তিনি বলেন, হামলাকারীরা ব্যাংকের আইনশৃংখলায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, আনসার সদস্যের অস্ত্র ও গুলিও লুট করেছে।

এদিকে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানান, ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কুকি চিনের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তবে এ বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়নি। পুলিশ মহাপরিদর্শকের নেতৃত্বে একটি টিম সেখানে রয়েছে। তারা সার্বিক দিক খতিয়ে দেখছে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, পাহাড়ের সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী রাত সাড়ে ৮টার দিকে এসে বাজারের মসজিদ ও ব্যাংক ঘেরাও করে সবাইকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় তারা ব্যাংকের টাকাসহ ডিউটি পুলিশের ১০টি অস্ত্র ও আনসার বাহিনীর ৪টি অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে যায়। তারা চলে যাওয়ার সময় রুমা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজারকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।