বাবার পাশে চির নিদ্রায় শায়িত চঞ্চল

সুজন দাস, চাঁদপুর প্রতিনিধি : বনানীর এফ আর ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত চাঁদপুরের কচুয়ার আতাউর রহমান চঞ্চলের মৃতদেহ দাফন করা হয়েছে।

শুক্রবার বাদ জুময়া কচুয়ার ৩নং বিতারা ইউনিয়নের বাইছাড়া গ্রামে জানাযার নামাজ শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। নিহত চঞ্চল বাইছাড়া গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের বড় ছেলে। ৪ ভাই ও ২ বোনের সে সবার বড়।

নিহতের চাচাতো ভাই, দনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ইংরেজী বিভাগের চেয়ারম্যান, মুন্সী নূরুল আলম বেলাল বলেন, আমার ভাই মো. আতাউর রহমান চঞ্চল দীর্ঘদিন মোহাম্মদপুরে বসবাস ও মতিঝিলে ট্রাভল এজেন্সির পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিল। কিন্তু অল্প কয়েকদিন আগে সে বনানীতে অফিস স্থানান্তর করেন। ঘটনার সময় চঞ্চল শেষ বারের মতো তার ছেলে ইঞ্জিনিয়ার ইফরানুর রহমানকে ফোন করে বলে আমি ছাদে। কিন্তু পরবর্তীতে তার ছেলেসহ অন্যান্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে ভবনের ছাদসহ কোথাও খুজেঁ পাওয়া যায়নি। রাত ৩টার দিকে সিএমএসএস হাসপাতাল থেকে তার লাশ শনাক্ত করে পরদিন শুক্রবার লাশবাহী অ্যাম্বলেন্স যোগে বাড়িতে নিয়ে আসে।

মৃত্যু কালে তিনি স্ত্রী,১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ বহুগুনগাহী রেখে গেছেন। নিহতের মেয়ে তাসনিয়া রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত।

বিতারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আবদুল বারেক প্রধান জানান, চঞ্চল বাংলাদেশ বিমানে চাকুরী করতো। চাকুরী শেষ হওযার পর অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ভবনের একটি ট্রাভেল্সে চাকুরীতে যোগ দেয়। আগুনে তার শরীর ৯০ভাগই পুড়েগেছে।