বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে চাপা ক্ষোভ বিরাজ

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটে। অবমূল্যায়নের আশঙ্কায় শরীক দলগুলোর কেউ কেউ প্রকাশ্যেই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেও অনেকেই চুপ করে আছেন কৌশলগত কারণে। তবে এ নিয়ে জোটে বড় ধরনের কোনো সমস্যা দেখা দেবে না বলে প্রত্যয়ী বিএনপি। দলটির শীর্ষ নেতারা বলছেন, আন্দোলন সফল হলে ২০ দলীয় জোটের দলগুলোকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে।

রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে গত ২২ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া। ওইদিন বিএনপি’র পাশাপাশি ২০দলীয় জোটের ১৪টি শরীক দল যোগ দিলেও সেখানে দেখা যায়নি এলডিপি, কল্যাণ পার্টিসহ ৬টি দলকে।

গত ২৭শে সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্নও তোলেন কেউ কেউ।

গত শনিবার জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নাম নিয়ে নতুনভাবে আবির্ভূত হয় ঐক্য প্রক্রিয়া। এতে ২০ দলের প্রতিনিধি হিসেবে রয়েছে বিএনপি।

নতুন এই জোট গঠন প্রক্রিয়া নিয়েই চাপা ক্ষোভ রয়েছে এলডিপি’র চেয়ারম্যানের।

অলি আহমেদ বলেন, জোট করার আগে আমার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করেন নাই। জোট করার পরেই বিশ দলীয় ঐক্যজোটের মিটিংয়ে এই বিষয়টি নিয়ে আসা হলো।

জোট করার আগে আমার সাথে কোনো কথা বলা হয়নি। জোট করার পরে জানানো হয়েছে

ঐক্যফ্রন্টের নেতৃত্বের গ্রহণযোগ্যতা ও সম্ভাব্য সফলতা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন অলি আহমেদ।

অলি আহমেদ বলেন, জনগণের সঙ্গে যাদের যোগাযোগ নাই, গ্রহণযোগ্যতা নাই, তাদের জন্য নির্বাচনে গিয়ে সুফল হবে না।

জোট হোক কিংবা দল হোক, জনগণের কাছে যাদের গ্রহণযোগ্যতা নাই, তাদের নিয়ে নির্বাচনে গিয়ে সুফল অতীতেও পাওয়া যায়নি, বর্তমানেও পাওয়া যাবে না

কৌশলগত কারণে প্রকাশ্যে ইতিবাচক মন্তব্য করলেও অনেকেরই ভেতরের সুর আলাদা।

মেজর জেনারেল ইবরাহীম বলেন, জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার পদক্ষেপ হিসাবে বিশ দলীয় প্রতিনিধি হিসাবে বিএনপিকেই আমরা দায়িত্ব দিয়েছি।

জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার যাবতীয় পদক্ষেপে জোটের প্রতিনিধি হিসেবে বিএনপিকে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি। জোটে কোনো ক্ষোভ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকাশ্য কোনো ক্ষোভ নেই, আর অপ্রকাশ্যটা অপ্রকাশ্যই থাক।

তবে বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন নয় বিএনপি। দলের শীর্ষ নেতারা বলছেন, সুদিন ফিরলে অবশ্যই মূল্যায়িত হবেন জোটের শরীকরা।

মেজর (অব) হাফিজ বলেন, বিএনপি বড় দল হিসাবে প্রয়োজনীয় ছাড় দিবে। যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন তাদেরকে সুযোগ দেয়া হবে।

বড় বড় নামের ভিড়ে দলীয় ও ব্যক্তিগত স্বার্থ ক্ষুন্ন হওয়ার আশঙ্কায় তারা উদ্বিগ্ন থাকতেই পারে। তবে বড় দল হিসেবে বিএনপি তাদের জন্য ছাড় দেবে, যারা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন তাদের মূল্যায়ন করবে।

তবে ২০ দলের শরীকদের উপেক্ষা করে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচনে যাকে-তাকে প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়ে দিলেই জনগণ ভোট দেবে না বলেও মন্তব্য এক সময়ের প্রভাবশালী এই বিএনপি নেতার।

ঐক্যফ্রন্টের পাশাপাশি কিছু নিজস্ব কর্মসূচি নিয়ে ২০ দলীয় জোট সার্বিক আন্দোলনকে বেগবান করবে বলেও মনে করেন বিএনপি নেতারা।