বিদ্যালয়ের জমি দখল করে গরুর গোয়াল!

পাবনা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের জমি দখল করে গরুর গোয়াল বানিয়েছেন বিদ্যালয়টির দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। এছাড়াও শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থেকে পরীক্ষার ফি, ফর্ম ফিলাপ ও ডোনেশনের নামে বিপুল পরিমাণের অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
১৯৬০ সালে প্রতিষ্ঠিত ঐতিহ্যবাহী দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন মোঃ আনোয়ার হোসেন খান। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১৩ শত। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বর্তমান প্রধান শিকের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। বিদ্যালয়ের অর্থে বিদ্যালয়ের পুকুর ভরাট করে ছাত্রদের সাইকেল গ্যারেজ করার কথা থাকলেও তা করতে দেননি প্রধান শিক্ষক।
নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে পরবর্তীতে গরু পালনের উদ্দেশ্যে সে জায়গায় নির্মাণ করে গোয়াল ঘর। যত্রতত্র ছড়িয়ে পরে গরুর বর্জ। দুর্গন্ধে চরম বিপাকে পরতে হয় শিক্ষার্থীদের। বিদ্যালয় মাঠে নিয়মিত বসে পেঁয়াজের হাট। ফলে খেলাধুলার পাশাপাশি ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম দাবী শিক্ষার্থীদের। প্রধান শিক্ষকের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী শিক্ষার্থীদের।
বিদ্যালয়ের অর্থ বিদ্যালয়ের বাংক একাউন্টে জমা না দিয়ে নিজের একাউন্টে জমা রাখেন প্রধান শিক্ষক। এছাড়াও প্রধান শিক্ষক জোর করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের থেকে পরীক্ষার ফি, ফর্ম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থী ও শিক্ষক।
বিদ্যালয়ের জায়গায় গোয়াল ঘর নির্মান, পরীক্ষার ফি, ফর্ম ফিলাপের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, ডোনেশন নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও পরিচালনা পরিষদের পরামর্শে করা হয়েছে বলে দাবী প্রধান শিক্ষকের। তবে প্রধান শিক্ষকের এমন দাবী অস্বীকার করেছেন পরিচালনা পরিষদের সাবেক সভাপতি আলহাজ মোশারফ হোসেন।
বিদ্যালয়ের জায়গায় কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা তৈরির ঘটনার তিন সদস্যর কমিটি গঠন করা হয়েছে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মোসলেম উদ্দিন। দ্রুত তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ব্যবস্থা নেয়ার দাবী সাধারণ অভিভাবক ও বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের।