বিদ্যুতে সাশ্রয়ী হোন! কয়লার ব্যবস্থা করছি- প্রধানমন্ত্রী

দেশবাসীকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা কয়লা কেনার ব্যবস্থা করছি। বিশ্বের এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি কতোদিন থাকবে তা বলা যাচ্ছে না।

খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ং সম্পূর্ণ হবার তাগিদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য উৎপাদন ঠিক রাখতে এবং জনগণের কষ্ট কমাতে যা যা করার সরকার তা করছে।

রোববার (৪ঠা জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় তিনি একথা বলেন।

পরে চট্টগ্রামের মরহুম সংসদ সদস্য আফসারুল আমিনের জন্য শোক প্রস্তাব গ্রহণ করা হয় জাতীয় সংসদে। শোক প্রস্তাব সমর্থন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের সংসদে এতো বেশি আপনজন হারিয়েছি, যা কখনও হয়নি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধ, স্যাংশন-পাল্টা স্যাংশন কারণে শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানী সঙ্কট রয়েছে।

প্রতিটা খাদ্যপণ্য থেকে সব পণ্যের দাম বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সারাবিশ্বেই বিরাজ করছে।

বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে সাধ্যমত চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, সব জিনিস ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে কারণ এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে কি না তা কারো জানা নেই।

প্রয়াত আফসারুল আমিনকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ কর্মী ও মৃদুভাষী মানুষ। বাস্তবে আজকে প্রাথমিক শিক্ষায় যে সাফল্য আমরা দেখছি সেটি তার অবদান।

তিনি বলেন, আমরা একে একে মুক্তিযোদ্ধাদের হারাচ্ছি। ৭৫ এর পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত হয়েছে। এখন আমরা ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ সম্মান পেয়েছেন। আফসারুল আমিন দেশ গড়া কাজেও সৎ ও নিষ্ঠাবান ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯১ সালে দুর্যোগের সময় বিরোধী দলের নেতা থাকা অবস্থায় সংসদে সেকথা তুলেছিলাম। খালেদা জিয়া তখন বললেন, যে পরিমাণ মানুষ মারা যাওয়ার কথা ছিলো ততো মরেনি। তখন বলেছিলাম, উনি তো জানতেনই না কতো মানুষ মারা গেছেন, সেই সময় ছুটে গিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের দুর্যোগের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরাই সবার আগে সাধারণ মানুষের সেবায় এগিয়ে গেছেন।

যখনই দুর্যোগ-দুর্বিপাক হয় তখনই আওয়ামী লীগের কর্মীরা ছুটে যান। আফসারুল আমিনও তেমন একজন ছিলেন। এ ক্ষতি পূরণ হবার নয়।

স্বাধীনতার সুফল এখন ঘরে ঘরে পৌঁছাচ্ছে। যদিও যুদ্ধ, জ্বালানীর অভাবসহ অস্বাভাবিক পরিস্থিতি আগে কখনও ছিলো না। সমগ্র বিশ্বেই মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব সবাইকেই কষ্ট দিচ্ছে- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।