বিপদসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপরে তিস্তার পানি, দুর্ভোগে হাজারো পরিবার

উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবা বাঁধের সবকটি গেট খুলে দেওয়ায় তিস্তায় পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটে পাঁচ উপজেলার কমপক্ষে ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে হু হু করে বাড়তে শুরু করে তিস্তার পানি। পানি বেড়ে তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ক্রমেই পানি বাড়তে থাকায় ব্যারাজের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পানি বাড়ায় নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের বাড়ি-ঘরে পানি উঠে গেছে।

পাশাপাশি চর এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙ্গন। প্রায় দুই হাজার পরিবার নদী ভাঙনের শিকার হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। ভাঙন থেকে বাঁচতে পারছেন না কেউই। নদীগর্ভে চলে গেছে হাতীবান্ধা উপজেলার চর সিন্দুর্না ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলীর বাড়ি। যা আছে তাই অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন তিনি। নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ফসলি জমির ক্ষেত।

জানা যায়, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, পলাশী ও সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুণ্ডা ইউনিয়নের তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৬ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ফেরদৌস আহমেদ জানান, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। বরাদ্দ পেলেই দ্রুত বিতরণ করা হবে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদৌলা বলেন, উজানের ঢলে ও ভারি বৃষ্টির কারণে তিস্তার পানি বাড়ছে। তবে ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় কি পরিমাণ পানি আসছে তা নির্ণয় করা যায়নি।