বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে বেরোবি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সাময়িক বরখাস্ত

বেরোবি প্রতিনিধি : রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) নির্বাহী প্রকৌশলী ও বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বাস্তবায়নাধীন বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে সংঘটিত বিভিন্ন অনিয়ম সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইব্রাহীম কবীর স্বাক্ষরিত নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর পাঠানো এক পত্রে তথ্য জানা গেছে।

পত্রে জানানো হয়, গত ১২ মার্চ নির্বাহী প্রকৌশলীকে একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করা হয় কিন্তু প্রকৌশলী পুনরায় যে জবাব প্রদান করে তা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক্ষের নিকট অসন্তোষজনক মনে হয়।পত্রে আরো জানানো হয়, নির্বাহী প্রকৌশলী বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের টেন্ডার ডকুমেন্টস ও অন্যান্য কাগজপত্রে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে এবং প্রকল্পের আর্থিক বিষয়ে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ দূরভিসন্ধিমূলক ও প্রকল্প বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় সংঘটিত অনিয়মে যোগসাজসের অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

প্রকল্পে বর্ণিত কাজসমূহের সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড.এম এ ওয়াজেদ মিয়া’র নাম জড়িত থাকা সত্বেও প্রকৌশলীর কর্মকান্ডের কারণে নির্মাণ কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে এবং তাঁর অসহযোগিতার কারণে বর্তমান প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সুনাম ক্ষুন্ন হয়েছে এবং প্রকল্পটি আইনগত ও প্রশাসনিক জটিলতার মধ্যে পড়েছে। সুতরাং প্রকৌশলীর অনিয়ম, দুর্নীতি, নৈতিক স্খলন ও অসদাচরণের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও নিয়মিত কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়েছে বলে পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাহী প্রকৌশলীকে সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি-৩ এর অনুচ্ছেদ (বি) এবং (ডি) ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয় এবং সরকারি কর্মচারি (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ১৯৮৫ এর বিধি-১১ অনুযায়ী নির্দেশক্রমে প্রকৌশলীকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।বরখাস্তকালীন তিনি খোরপোষ ভাতা পাবেন বলেও জানানো হয়।

এ বিষয়ে জানতে নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে বারবার কল করলেও রিসিভ করেননি তিনি।

উল্লেখ্য, ঠিকাদারের বিল পরিশোধের অভাবে পরিবহন গ্যারেজ ও স্বাধীনতা স্মারকের কাজও স্থবির হয়ে আছে দুই মাস থেকে।