বিশ্বকাপে সাকিবকে পাবে না বাংলাদেশ?

বড় দুঃসংবাদই দিলেন সাকিব আল হাসান। আঙুলের ইনজুরির কারণে আগামী বিশ্বকাপে খেলতে নাও পারেন বিশ্বের অন্যতম সেরা এই অল রাউন্ডার। একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাতকারে এমন আশঙ্কার কথাই জানিয়েছেন তিনি।

বছরের শুরুতে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আঙুলের চোট পান সাকিব। এরপর মাঠের বাইরে ছিলেন কিছুদিন। কিন্তু মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে ফেরেন। তখনও পুরোপুরি সারেনি চোট। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর থেকে ফিরে জানিয়েছিলেন, এশিয়া কাপের আগেই আঙুলের অস্ত্রোপচার করাবেন। কিন্তু দলের প্রয়োজনে চলে যান এশিয়া কাপ খেলতে। যদিও ফাইনালের আগেই ফিরতে হয়েছে তাকে।

দেশে ফিরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। সেখানেই ধরা পড়ে আঙুলের ইনফেকশন। তাৎক্ষণিক ভাবে আক্রান্ত আঙুল থেকে বের করা হয় পুঁজ। বর্তমানে মেলবোর্নের ইপওর্থ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষার পর জানা যায়, এখনই সার্জারি করানো যাবে না।

ইনফেকশনের যা অবস্থা, তাতে ৬ মাসের আগে সার্জারি করানো যাবে না বলে জানিয়েছেন সাকিব, ‘এই মুহূর্তে ইনফেকশনের যে অবস্থা তাতে ৬ মাসের মধ্যে সার্জারি করানো যাবে না। ইনফেকশন থাকা অবস্থায় সার্জারি করালে হাতের অবস্থা আরো খারাপ হয়ে যাবে। তাই ডাক্তাররা ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।’

ইনফেকশন পুরোপুরি সেরা ওঠা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে, ‘ইনফেকশন পুরোপুরি সেরা ওঠা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী দেড়-দুই মাস ওষুধ চলবে। এরপর আরও দুইমাস দেখতে হবে হাতের ক্ষত ঠিক হয় কিনা। আমাকে ম্যাচ খেলেও দেখতে হবে ইনফেকশন বাড়ে কিনা। যখন সব পরীক্ষা শেষে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে আর কোন ইনফেকশন নেই বা ফিরেও আসবে না তখনই কেবল সার্জারি করানো হবে। সব মিলিয়ে ৬ মাস থেকে এক বছর লাগবে সেরে উঠতে। ডাক্তারও একই কথা বলেছে।’

এদিকে জুনে ইংল্যান্ডে বসছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। হাতে আট মাসেরও কম সময়। এর মাঝে যদি সাকিব ইনফেকশন মুক্ত না হতে পারেন, তাহলে বিশ্বকাপ চলাকালেই অপারেশন টেবিলে উঠতে হতে পারে সাকিবকে। আর যদি এমনটিই ঘটে, সে ক্ষেত্রে নিজেদের সেরা তারকাকে ছাড়াই বিশ্বকাপ খেলতে হবে বাংলাদেশকে।