বৃষ্টিতে জলজট আর যানজটে নাকাল নগরবাসী

সকাল থেকে বৃষ্টিতে দুর্ভোগে পড়েছে নগরবাসী। অনেককে ভিজে অফিসে গেছেন। বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে যারাই বের হয়েছেন তারাই দুভোর্গের মুখোমুখি হয়েছেন। বৃষ্টিতে রাজধানীর অনেক এলাকার সঙ্গে সড়কেও পানি জমে গেছে। ফলে দেখা দিয়েছে তীব্র যানজটের।

বুধবার (২৩ মে) সকালে রোদের দেখা মিললেও বেলা একটু গড়াতেই মেঘে ঢেকে যায় আকাশ। সকাল ৯টার কিছুর পর শুরু হয় বৃষ্টি। থেমে থেমে বৃষ্টি চলে পৌনে ১২টা পর্যন্ত। বৃষ্টিতে পথচারীরা আশেপাশের দোকান, মার্কেটসহ বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিলেও দীর্ঘ সময়েও না থামায় অনেকে ভিজেই গন্তব্যে রওয়ানা হন।

বৃষ্টির সময় রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে নগরবাসীর দুর্ভোগের এমন চিত্র দেখা গেছে। বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ বাস স্ট্যান্ডে ওভারপাসের নিচে অল্প একটু জায়গায় অনেককে গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তবুও বাঁচতে পারেনি বৃষ্টি হাত থেকে। পরে অনেকে ভিজে ভিজেই গাড়িতে ওঠেন।

এমনই একজন গুলিস্তানের বঙ্গবাজারের দোকান কর্মচারী শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘অনেকক্ষণ অপেক্ষা করলাম বৃষ্টি তো থামে না। দোকান খুলতে অইব। কী আর করমু, তাই ভিজেই বাসে ওঠলাম।’

সকাল ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ী গোল চত্বরে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন শত শত মানুষ। যাত্রাবাড়ী মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা ইউনুস আলী বলেন, ‘মিরপুর যাব। ডেমরা বামৈল থেকে আধা ভেজা হয়ে কোনো রকমে আসলাম। কিন্তু মিরপুর যাওয়ার কোনো গাড়ি পাচ্ছি না। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে আছি।’

বৃষ্টিতে রাজধানীর মতিঝিল, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কে পানি জমে থাকতে দেখা গেছে। বেলা ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার, বিজয় সরণি, মতিঝিল, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে তীব্র যানজট। রুবায়েত হোসেন নামে একজন বলেন, ‘বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও কাকরাইলের দিকে বেশ যানজট রয়েছে।’

এছাড়া গ্রীষ্মের এমন বৃষ্টিতে যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল, দনিয়া, শেখদীসহ আশেপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পথচারীরা দুর্ভোগে পড়েছেন তেমনি দেখা দিয়েছে তীব্র যানজটের।