বৃহত্তর ময়মনসিংহে চিকিৎসা সেবায় মানুষের আস্থা অর্জন করেছে ডাঃ মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল

ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর উপজেলার বোকইনগরে অবস্থিত ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল চক্ষু চিকিৎসার ক্ষেত্রে মানুষের আস্থা অর্জন করেছে।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা: এ কে এম এ মুকতাদির নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার বোকইনগর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে একটি সুন্দর মনোরম পরিবেশে ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ডা. মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতাল।

প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিতে উপজেলায় নিজ গ্রাম নয়াপাড়ায় ২০০৪ সালে সহধর্মিণী মাহমুদা খাতুনের সহযোগিতায় তিনি গড়ে তোলেন ডা: মুকতাদির চক্ষু হাসপাতাল। দেশের উন্নত প্রযুক্তির হাসপাতালগুলোর সাথে তাল মিলিয়ে মানুষের চোখের চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে এ হাসপাতালটি। এখন আর চোখের চিকৎসার জন্য এ অঞ্চলের মানুষকে রাজধানীতে যেতে হয় না।

এখন শুধু গৌরীপুর নয় আশপাশের বিভিন্ন উপজেলার মানুষ আসে এ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে। স্বল্প খরচে মানুষ এখানে পাচ্ছেন চোখের চিকিৎসা। রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই চক্ষু হাসপাতালে যাতায়াত অনেক সহজ ও স্বল্প খরচে চক্ষু চিকিৎসা পাওয়া যায়।

নেত্রকোনা জেলার জারিয়া নান্দাইল কপালরের আবুল কাশেম বলেন, পূর্বে আমি কয়েকটি হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা করিয়ে অবশেষে মুক্তাদির চক্ষু হাসপাতালে অল্প টাকা খরচ করে আমি আমার চোখ ফিরে পেয়েছি।

সরেজমিন দেখা গেছে, এ হাসপাতালটিতে রয়েছে চোখের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার উন্নত প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি। রয়েছে নিজস্ব জেনারেটর ব্যবস্থা। রোগীর জন্য রয়েছে পর্যাপ্ত ওয়ার্ড ও বেড। রোগীর সাথের লোকজনের জন্য আছে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা। চারতলা বিশিষ্ট হাসপাতালটির চারপাশে রয়েছে ফুলের বাগান। বিনোদনের জন্য রয়েছে মিনি চিড়িয়াখানা ও হাসপাতালের সামনে স্থাপন করা হয়েছে বিশাল পার্ক। হাসপাতালের পাশে স্থাপন করা হয়েছে মসজিদ ও একটি মাদরাসা। এ হাসপাতালকে ঘিরে গড়ে ওঠেছে ওষুধ, চশমাসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রীর দোকান। এ সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্থানীয় শতাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। এ ছাড়া এ হাসপাতালে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে বেকারত্ব ঘুছিয়েছে স্থানীয় অনেক বেকার তরুণ তরুণী।

বোকাইনগের গ্রামের সাংবাদিক মাসুদ আলম জানান, ডা. মুক্তাদির এই এলাকার কৃতি সন্তান, তার প্রচেষ্টার ফলেই সম্ভব হয়েছে বোকইনগরের মত গ্রামে এই রকম একটি আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা। স্বল্প খরচে চোখের চিকিৎসার জন্য প্রতিষ্ঠিত সেবামূলক একটি প্রতিষ্ঠান। চোখের ছানি, গ্লুকোমা, ট্যারা চোখসহ সব ধরণের রোগের চিকিৎসা করা হয় এই হাসপাতালে। হাসপাতালটি না থাকলে চোঁখের চিকিৎসা করতে গিয়ে কত হয়রানির শিকার ও দ্বিগুণ টাকা খরচ করতে হয়েছে। এই হাসপাতালে দূর দূরান্ত থেকে আসা যাওয়া করতে বেগ পোহাতে হয় না। হাসপাতালটি গৌরীপুরবাসীর জন্য গর্বের বলেও জানান তিনি

উল্লেখ্য, ডাঃ মুক্তাদির বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বহুদেশে চক্ষু চিকিৎসায় আলোড়ন সৃষ্টি করায় এবং তার নিজ উপজেলা গৌরীপুরে ফ্রি চক্ষু শিবিরের মাধ্যমে জাহার হাজার অসহায় রোগীদের সেবা দিয়ে সারাদেশ ব্যাপী সুনাম অর্জন করেছেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তিনি জীবনে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি সহ বিপুল সংখ্যক পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি জাতীর শ্রেষ্ঠ সন্তানও বটে