ভণ্ডপীরের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

জিন-ভূত তাড়ানোর নামে তরুণীদের সঙ্গে পর্নো ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে গ্রেফতার ‘ভণ্ডপীর’ আহসান হাবিব পিয়ার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

দুদিনের রিমান্ড শেষে শনিবার তাকে সিএমএম আদালতে হাজির করে জবানবন্দি রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

এর আগে বুধবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম এ কে এম মাঈন উদ্দিন সিদ্দিকী তার বিরুদ্ধে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এদিন তাকে আদালতে হাজির করে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।

রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে মঙ্গলবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজমের সাইবার ক্রাইম ইউনিট তাকে গ্রেফতার করে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া ও পাবলিক রিলেসন্স বিভাগ থেকে জানানো হয়, আহসান হাবিব পিয়ার দাওরায়ে হাদিসে পড়াশোনা করেছেন। নিজেকে এএইচপি টিভির সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেন এবং নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ধর্মের কথা বলে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।

সম্প্রতি সে নিজেকে পীর দাবি করে জিন তাড়ানোর কথা বলে মেয়েদের নির্যাতন করত বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় মেয়েদের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন উত্তেজক কথা বলে এবং পরে এদের অনেককে নিজ বাসায় এনে ব্ল্যাকমেইল করে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করত।

এ বিষয়ে সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম জানান, পীর দাবি করা ভণ্ড হুজুর মেয়েদের সঙ্গে যৌনকর্ম করার সময় ভিডিও করে তা কম্পিউটারে সংরক্ষণ করত। পরে সুযোগ মতো ভিডিওর কথা বলে ব্ল্যাকমেইল করে লাখ লাখ টাকা আদায় করত। তার বিরুদ্ধে খিলগাঁও থানায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়।