ভীষণ অসুস্থ খালেদা, দেখলে চেনা যাবে না : ফখরুল

কারাবন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হয়েছে। তাকে দেখলে চেনা যাবে না বলে মনে করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। বলেন, গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার ৪ কেজি ওজন কমেছে। এসময় অবিলম্বে তার পছন্দ অনুযায়ী দেশে অথবা বিদেশে সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করার দাবিও জানান ফখরুল।

সরকারকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, চিকিৎসার অভাবে তার কিছু হলে দায়-দায়িত্ব সরকারকে বহন করতে হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, গত এক সপ্তাহে খালেদা জিয়ার চার কেজি ওজন কমেছে। শুকিয়ে গেছেন তিনি। খেতে পারছেন না। তার যে স্বাস্থ্যের অবস্থা তা উদ্বেগজনক। তার ডায়াবেটিক ২০ এর নিচে নামছেই না। তিনি পা সোজা করতে পারছেন না। হাঁটতে তো পারেনই না। হুইল চেয়ার ছাড়া তিনি চলতেই পারেন না। তাকে হুইল চেয়ারে করেই ওয়াসরুমে, শাওয়ার নিতে অথবা বিছানায় নিতে হয়। তাকে দেখলে আপনারা চিনতেই পারবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা একটি মামলায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সাজানো বিচারে তাকে সাজা দিয়ে বিগত প্রায় ১৮ মাস ধরে কারাগারে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একের পর এক ৩৭টি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তিনি যখন কারাগারে যান তখন তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় ছিলেন।

ফখরুল বলেন, কয়েক দিন আগে আমি তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। তখন তিনি একটি চেয়ারে বসে ছিলেন। অনেক চেষ্টা করেও তিনি সেই চেয়ার ছেড়ে উঠতে পারছিলেন না। তাকে দেখভালের যে সাহায্যকারী তিনি তাকে ধরে চেয়ার থেকে উঠিয়েছেন। তিনি নিজে খেতে পারেন না, তাকে মুখে তুলে খাওয়াতে হয়। তাও সব খাবার তিনি খেতে পারেন না। এ বয়সে তার যা খাওয়া উচিত তা তিনি পান না।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী প্রতিটি মামলায় জামিন পাওয়ার কথা। অথচ সরকার তার জামিনে প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে। উচ্চ আদালত থেকে নিম্ন আদালতে তার মামলার কাগজ পাঠানো হয় না। হেন কোনো কাজ নেই যে, এই সরকার তার মামলায় হস্তক্ষেপ করছে না।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ইকবাল হোসেন টুকু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা চিকিৎসক নেতা ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।