ভোলার বোরহানউদ্দিনে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যা

ভোলার বোরহানউদ্দিন বাজার ব্যবসায়ী ও পৌর ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোশারেফ ওরফে মসুকে (৪৫) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাযায়, মোশারেফ ওরফে মসুকে পিটিয়ে গুরুতর জখমের পর দুই দিন চিকিৎসা করানোর পর রোববার দুপুর ২ টায় ঢাকা নেওয়ার পথে বোরহানউদ্দিন পৌর ৪ নং ওয়ার্ডে তাঁর মৃত্যু হয়।

নিহত ব্যবসায়ী ভোলার বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৪ নাম্বার ওয়ার্ডের হাবিবুর রহমান সিকদারের ছেলে। সে পৌর শহরের চৌরাস্তায় ফুটপাতে ফলের ব্যবসা করতো। থানা পুলিশ বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এদিকে সন্তানের দোষে পিতাকে মারার কারণে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। রাত ৭ টার দিকে সাধারণ জনগন পৌর শহরে মসু হত্যার বিচার চেয়ে মিছিল করেছে।

স্থানীয়রা ও মোশারফের ছেলে শাকিল জানান, গত কয়েকদিন আগে ঢাকায় মোশারেফের মেঝ ছেলে শান্তর সাথে পাশ্ববর্তী ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের (২২) বন্ধুর সাথে ঝগড়া হয়। এক পর্যায়ে সুমনের বন্ধুরা শান্তর কাছ থেকে মোবাইল ও নগদ ৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এর ১ বছর পর বশির পাটোয়ারীর ছেলে সুমনের বন্ধু চাঁন মিয়াকে বোরহানউদ্দিন সদরে পেয়ে শান্ত তাকে থাপ্পর মারে।

এর রেশে গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৮ টার দিকে সুমন,শাহিন ওরফে সখা,কামালসহ একদল বখাটে ব্যবসায়ী মোশারফকে হাত মুখ বেঁধে অটো রিক্সায় উঠিয়ে নিয়ে যায়। সুমনসহ অজ্ঞাত ২০ জন তাঁকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে হত্যার চেষ্টা চালায়।পরে স্থানীয়রা আহত মোশারেফ হোসেন মসুকে উদ্ধার করে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে পাঠায়। আহত মসুর চিকিৎসার অবনতি হলে
ভোলা সদর হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসক। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে আজ রোববার ঢাকা নেয়ার পথে মসু মারা যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হামলাকারী সুমন ও শাহিনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা কোর্টে চলমান। অন্যদিকে অপর হামলাকারী কামালের বিরুদ্ধে হত্যা
চেষ্টার মামলা চলমান।

এদিকে বশির পাটোয়ারী ও তাঁর ছেলে সুমনের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে এক মহিলা ফোন রিসিভ করে জানান, তারা ঘরে নাই।

খবর পেয়ে বোরহানউদ্দিন থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসেন। বোরহানউদ্দিন থানার অফিসের ইনচাজ(ওসি) মনির হোসেন মিয়া জানান, পোষ্ট মর্টেমের জন্য লাশ ভোলা প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। সন্দেহভাজন ১ জনকে আটক করা হয়েছে। এজাহারে তার নাম থাকলে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।