মঠবাড়িয়ায় বিদ্যালয়ের কোয়ার্টার সুবিধা ভোগ করেন হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত আসামি

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় শাম্মি হত্যা মামলার আসামি সহকারী শিক্ষিকা আয়শা খানমকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে খাস মহল লতীফ ইন্সটিটিউশন কর্তৃপক্ষ। তিনি হত্যা মামলার ২ নং অভিযুক্ত আসামি। গত ২৫ নভেম্বর মঠবাড়িয়া থানা পুলিশ এ মামলায় তাকে অভিযুক্ত করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে।

আয়েশা খানম বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার রায়েন্দা এলাকার এমাদুল হক খানের স্ত্রী। কে এম লতীফ ইন্সটিটিউশনের কোয়ার্টারে থাকেন তিনি।

জানা গেছে,কে এম লতীফ ইন্সটিটিউশনে শিক্ষকদের আবাসন সংকট রয়েছে। ১৩০০ জন শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়টিতে ৩১ জন এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মরত আছেন।কিন্ত শিক্ষকদের আবাসন সুবিধা হিসেবে কোয়ার্টার রয়েছে মাত্র ১২টি।এর মধ্যে ফাল্গুনী – ১ নামে কোয়ার্টারটি ব্যবহার করেন আয়শা খানম। তাকে গত বছরের আগস্টে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও অদ্যাবধি পর্যন্ত কোয়ার্টারটি তার আয়ত্বেই রয়েছে। তিনি সেখানে না থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে কোয়ার্টারটি তালাবদ্ধ করে রেখেছেন তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়টির একাধিক শিক্ষক জানান, আয়শা খানমের বিরুদ্ধে ভিকটিম শাম্মি আক্তারের নাকে – মুখে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করার অপরাধ থানা পুলিশের তদন্তে প্রাথমিকভাবে সত্য বলিয়া প্রমানিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে মামলাটি চলমান আছে। এ অবস্থায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত কোয়ার্টারটি মুক্ত করে বিদ্যালয়ের আবাসন বঞ্চিত শিক্ষকদের সুবিধা দেওয়ার ব্যবস্থা করা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একটি মহল বিদ্যালয়টিতে উন্নয়ন কাজের নামে কয়েক কোটি টাকা লুটপাট করে হাতিয়ে নিয়েছে। এজন্য ওই মহলটি তাদের এ অনিয়ম ও দুর্নীতি যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য হাতিয়ার হিসেবে কৃত্রিম মামলা দিয়ে ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনের পথ বন্ধ করে রেখেছে।ফলে বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারছেন না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) খলিলুর রহমান জানান, গত ১৫ নভেম্বর এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। পরবর্তী কমিটির অনুমোদন পেলেই সাময়িক বরখাস্তকৃত ওই শিক্ষিকার দখলে থাকা কোয়ার্টারটির বিষয়ে আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।মামলার কারনে নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি না থাকায় অনিয়মের বিরুদ্ধে সদিচ্ছা থাকা স্বত্বেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।