ময়মনসিংহে চুরির ঘটনায় আন্তঃজেলা চোরচক্রের ৪ জন গ্রেফতার

ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানাধীন ৩২নং বাসাবাড়ি রোড, ট্রাংকপট্রি এলাকায় এসএস কমপ্লেক্সে বাদীর কিরন জুয়েলার্স দোকানের কেচি গেইট ও সার্টারের তালা ভেঙ্গে সোনা চুরির ঘটনায় আন্তঃজেলা চোর সিন্ডিকেটের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, মানিক মিয়া, রুবেল মিয়া,ইয়াছিন আরাফাত ও মোঃ জসিম। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫ ভরি ৮ আনা ৩ রতি ৭ পয়েন্ট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত সোনার  মূল্য অনুমান ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৪ টাকা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১নং ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে  সংগীয় এসআই মোঃ রুবেল মিয়া, এসআই সাজ্জাদ হোসেন সজীব টানা দুইদিন এই অভিযান পরিচালনা করেন।গত বুধবার দুপুরে সদর  সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইঞ্জিনিয়ার শাহীনুল ইসলাম ফকির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ট্রাংকপট্টি রোডের রিপন সেনের নামীয় কিরন জুয়েলার্সে গত ১৭ জানুয়ারি  কেচিগেইট ও সাটারের তালা ভেঙ্গে   ৩০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ ভরি রোপাসহ প্রায় ৩২ লাখ পঁয়ত্রিশ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জুয়েলারি মালিক রিপন সেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২১, তাং- ১৮/০১/২০২৪ ইং, ধারা- ৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর ১নং ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম একটি শক্তিশালী টিম নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে চোরচক্র সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং গত দুইদিনে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও  কুমিল্লা থেকে আন্তঃজেলা সোনার দোকানে চুরি সিন্ডিকেট চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ ভরি চুরি যাওয়া সোনার অলংকার উদ্ধার করে। ব্রিফিংকালে কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ  মাইন উদ্দিন, ওসি তদন্ত  ইন্সপেক্টর  আনোয়ার হোসেন, ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর শহিদুল ইসলাম,পুলিশ পরিদর্শক রুবেল মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
১নং ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার এবং চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা সম্ভব হবে।