মহাকাশে খাবার পাঠাচ্ছে থাইল্যান্ড

মহাকাশে খাবার পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে থাইল্যান্ড মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। সংস্থাটি আগামী জুলাইয়ে ডুরিয়ান নামের ফল প্রক্রিয়াজাত করে মহাকাশে পাঠাবে। ভবিষ্যতে মহাকাশ যাত্রায় থাইল্যান্ডের খাবার উপযাগি করে তুলতে একটি প্রজেক্টের অংশ হিসেবে এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। ডুরিয়ান এমন এক ধরনের ফল যা খুব শক্ত ও তীব্র গন্ধযুক্ত। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বেশ পরিচিত।

সিদ্ধ করা এই খাবারটি মহাকাশে থাকবে মাত্র পাঁচ মিনিট। তারপরেই পৃথিবীতে ফিরে আসবে। এ সময় বিজ্ঞানীরা দেখবেন, মহাকাশ যাত্রায় পাঠানো খাবারের বিন্যাসে কোনো ধরনের পরিবর্তন আসে কি না। স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, ফলটি যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি কর্তৃক নির্মিত রকেটে করে মহাকাশে পাঠানো হবে।

যদিও থাইল্যান্ড সেসব দেশের সদস্য না, যেসব দেশ মহাকাশে জায়গা করে নিয়েছে। তবে অদূর ভবিষ্যতে এ পরিকল্পনা রয়েছে দেশটির।

জিও ইনফরমেটিক্স অ্যান্ড স্পেস টেকনোলজি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, আমাদের লক্ষ্য হলো মহাকাশ যাত্রায় মহাকাশকারীদের থাইল্যান্ডের খাবারের সাথে পরিচিত করানো। শুরুতে আমরা ডুরিয়ানকে বাছাই করেছি, যা থাইল্যান্ডে ফলের রাজা বলে পরিচিত। আমরা এটা ততক্ষণ পর্যন্ত মহাকাশে পাঠাতে চাই যতক্ষণ পর্যন্ত মহাকাশচারীরা এটির বিন্যাসে কোনো ধরনের পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারেন।

মুখপাত্র আরও বলেন, যদি প্রজেক্টটি ভালোভাবে কাজ করে, তাহলে পরবর্তীতে থাইল্যান্ডের আরও কিছু পরিচিত খাবার যেমন-প্যাড থাই বা ম্যাঙ্গো স্টিকি রাইস (আম ও আঠালো ভাত মিশ্রিত খাবার) পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।

ডুরিয়ান থাইল্যান্ডের অনেক জনপ্রিয় একটি খাবার। মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ভিয়েতনামেও এটি পাওয়া যায়। এটির উগ্র গন্ধ রয়েছে। যে কারণে গণপরিবহন ও কিছু সংরক্ষিত জায়গায় এটি নিষিদ্ধ রয়েছে।

আগুনে শেঁক দেয়া ডুরিয়ানে প্যাকেটে হাতির ছাপ দেয়া থাকবে-যে ছাপ দেখাবে হাতিটি ডুরিয়ান ফল নিয়ে রকেট করে মহাকাশ যাত্রা করছে। তবে ডুরিয়ানই প্রথম কোনো খাবার না যা মহাকাশে পাঠানো হচ্ছে। ২০০৮ সালে, দক্ষিণ কোরিয়ার একজন মহাকাশচারীর সাথে কিমচি পাঠানো হয়েছিল। কিমচি বাঁধাকপি দিয়ে প্রকিয়াজাত করা এক ধরনের খাবার-যা দেশটির জাতীয় খাবার বলে পরিচিত।

সূত্র: বিবিসি