মাটির নীচে কোরবানির চামড়া, পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি

নগণ্য দামেও বিক্রি করতে না পেরেই সুনামগঞ্জের হাফিজিয়া হোসাইনিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ কোরবানির পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলে বলে জানিয়েছে তদন্ত কমিটি।

সুনামগঞ্জের জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউনিয়নের এই মাদ্রাসাটি মঙ্গলবার দুপুরে চামড়াগুলো মাটিতে পুঁতে ফেলে। এই ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসনের গঠন করা তদন্ত কমিটির সদস্যরা বুধবার দুপুরে মাদ্রাসা ক্যাম্পাস পরিদর্শন করেন।

তদন্ত কমিটির সদস্য জগন্নাথপুর উপজেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন অফিসার নব কুমার সিংহ বলেন, গতকাল দুপুরে আমরা মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সরেজমিনে পরিদর্শন করি। বিকাল ৫টা পর্যন্ত ওই এলাকায় পরিদর্শন করেছি। আমরা দেখেছি, চামড়া পুঁতে রাখা জায়গা থেকে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। মাটির নিচে গ্যাসের কারণে চামড়াগুলো ফুলে ওঠে মাটি ভেদ করেছিল। পরে ব্লিচিং পাউডার বালি ও মাটির আস্তর দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

তদন্ত কমিটি মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি, শিক্ষক ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তারা জানান, সংগৃহীত চামড়া বিক্রি করতে না পারায় পরিবেশ রক্ষা করতে মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে। তদন্ত কমিটি লিখিত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে জমা দিয়েছে।

এর আগে মঙ্গলবার সৈয়দপুর সাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের সৈয়দপুর হাফিজিয়া হোসাইনিয়া দারুল হাদিস মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৮০০ পিস গরুর চামড়া ও ৯৫ পিস ছাগল,বকরি ও ভেড়ার চামড়া মাটির নিচে পুতে ফেলেন।

এ প্রসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা সৈয়দ ফখরুল ইসলাম জানান, চামড়াগুলো বিক্রির জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু, কোনও ক্রেতা পাওয়া যায়নি। তাই মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।

এদিকে, বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী কোরবানির চামড়া বিক্রি না করে কারা মাটিতে পুঁতে ফেলছে তা সাংবাদিকদের খুঁজে বের করতে বলেন।

কোরবানির চামড়া নিয়ে সিন্ডিকেটের কারসাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কারা চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলছে সেটাও সাংবাদিকদের দেখা দরকার। এরা কারা? আমাদের দেশে তো দেশবিরোধী একটা বিরাট চক্র বিরাজমান।

চামড়া শিল্পে যদি কোনো রকমের ব্যাঘাত ঘটে, সেটা বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয় অবশ্যই দেখবে বলে মন্তব্য করেন নৌ প্রতিমন্ত্রী।