মাদারীপুরে মদ্যপানে ২ নারীর মৃত্যু

মাদারীপুর পৌর এলাকায় মদ্যপানে সাগরিকা ও পারুল আক্তার রুপা নামে ২ তরুণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।

শনিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে পৌরশহরের কলেজ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৫ অক্টোবর) সকালে ২ জনের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

মৃত সাগরিকা পৌরশহরের উকিলপাড়া এলাকার কে এইচ শাকিল আহম্মেদের মেয়ে ও তার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপা ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম এলাকার মালেক মাতুব্বরের মেয়ে।

জানা যায়, ভোরে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে রুমে ছুটে যান বাসার কেয়ারটেকার হেলাল সরদার। ফ্লোরে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন সাগরিকা আহম্মেদ ও তার বান্ধবী পারুল আক্তার রুপাকে। অসুস্থ অবস্থায় সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন ও তার মামা মো. বাবু এবং ডালিয়াকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনা হয়। এদের মধ্যে বাবু ও ডালিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে।

সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, পারুলসহ কয়েকজন মেয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসে। রাতে আমরা সবাই দেশি ও বিদেশি মদ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি। পরে দেখি আমার মেয়ে সাগরিকা ও তার বান্ধবী পারুল মারা গেছে।

সাগরিকার মামা মো. বাবু বলেন, আমার বাড়ি নাটোর। আমি এখানে বোনের সাথে থাকি। এক বছর হলো এখানে এসেছি। একটি ইটভাটায় কাজ করি। রাতে আমার ভাগনি ও ওর কয়েকজন বান্ধবী মিলে মদ পান করি। এরপর ঘুমিয়ে পড়ি। জেগে দেখি আমার ভাগনি ও তার বান্ধবী মারা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, শনিবার রাতে ওই বাসায় অপরিচিত ৩-৪ জন নারীকে ঢুকতে দেখেন তার। ঘটনার পর অন্য নারীদের আর দেখা যায়নি।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, দুই তরুণীকে মৃত অবস্থায় এখানে আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানান, কলেজ রোডের পেছনে লোকমান মোল্যার বাড়ির চারতালায় সাবিনা ইয়াসমিন তার মেয়ে সাগরিকাকে নিয়ে ভাড়া থাকেন। প্রাথমিকভাবে জেনেছি শনিবার রাতে সাগরিকার ৩ বান্ধবী ওই বাসায় বেড়াতে আসেন। এরপর তারা সবাই মিলে মদপান করে। কিছুক্ষণ নাচা-নাচি করে ঘুমিয়ে পড়ে। জেগে দেখেন সাগরিকা ও তার বান্ধবী মারা গেছে। এ ঘটনায় আরো ২ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছে।

ওসি আর বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত সাগরিকার মা সাবিনা ইয়াসমিনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।