মানবসম্পদে সর্বোচ্চ বরাদ্দ

২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ বরাদ্দ প্রদানের প্রস্তাব করা হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়নে। এ খাতে সর্বোচ্চ ২৬.১২ শতাংশ বাজেট বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতা শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। ৪ লক্ষ ২৬৬ কোটি টাকার এই বাজেটের এক-চতুর্থাংশের বেশি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে মানবসম্পদ উন্নয়নে।

বাজেটের সামাজিক অবকাঠামোয় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ৩০২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ২৯.৩১ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে ৯২ হাজার ৭৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যা ছিল মোট বাজেটের ২৯.২৪ শতাংশ।

সামাজিক অবকাঠামো খাতের মানবসম্পদ বিভাগে এবার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১ লক্ষ ০৪ হাজার ৫৬৯ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৬.১২ শতাংশ। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতের বরাদ্দ ছিল ২৫.৪৯ শতাংশ।

মানবসম্পদ বিভাগের এই বরাদ্দের মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে ৫.৭৮ শতাংশ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ৫.৫০ শতাংশ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগে ৪.০৪ শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে ১০.৮০ শতাংশ ব্যয় করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সামজিক অবকাঠামোর খাদ্য ও সামাজিক নিরাপত্তা বিভাগে এবার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ১২ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকার, যা মোট বাজেটের ৩.১৮ শতাংশ। এই বিভাগের বরাদ্দ ব্যয় হবে খাদ্য মন্ত্রণালয় (০.৯৭ শতাংশ) এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে (২.২১ শতাংশ)।

এদিকে ভৌত অবকাঠামো বিভাগে ১ লক্ষ ২৭ হাজার ৫৯ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। যা মোট বাজেটের ৩১.৭৪ শতাংশ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ৯৯ হাজার ৪৯৮ কোটি টাকা, যা ছিল মোট বাজেটের ৩১.৩৭ শতাংশ।

ভৌত অবকাঠামো খাতের বরাদ্দ ব্যয় হবে কৃষি ও পল্লী উন্নয়নে ৫২ হাজার ১২৮ কোটি টাকা (১৩.০২ শতাংশ), বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে ২১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা (৫.২৮ শতাংশ), যোগাযোগ অবকাঠামোয় ৪৭ হাজার ৫৫৮ কোটি টাকা (১১.৮৮ শতাংশ) ও অন্যান্য সেক্টরে ৬ হাজার ২৫৫ কোটি টাকা (১.৫৬ শতাংশ)।

এছাড়া সাধারণ সেবায় এবার বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৯৬ হাজার ১৮৯ কোটি টাকা, যা মোট বাজেটের ২৪.০৩ শতাংশ। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দ ছিল ৭২ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা (২২.৮৫ শতাংশ)।

সাধারণ সেবা খাতের অর্থ ব্যয় হবে জনশৃংখলা ও নিরাপত্তায় ২২ হাজার ৮৫১ কোটি টাকা (৫.৭১ শতাংশ), অন্যান্য ক্ষেত্রে ৭৩ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা (১৮.৩২ শতাংশ)।

অন্যদিকে সুদ পরিশোধে ১০.৩৬ শতাংশ, পিপিপি, ভর্তুকি ও দায়ে ১.৮৮ শতাংশ, নিট ঋণদান ও অন্যান্য ব্যয়ে ২.৬৮ শতাংশ ব্যয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।