মামলার ভয়ে সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে মুখ দেখিয়ে বেড়ান যিনি (ভিডিও)

সপ্তাহে ৫ দিন অফিসে যেতে হয়। ছুটির দিনে তিনি রাজধানীর যেখানেই থাকেন সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে মুখ দেখিয়ে বেড়ান। মামলার ভয়ে এমনটা করেন বলে জানিয়েছেন আনোয়ার হোসাইন। সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, ‌‘বাবা মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি পাননি। ৩৮তম বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তিনি।’

আনোয়ারের ভাষ্যমতে, তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেন সরকারি আদেশ মেনে রাজাকারের তালিকা করেছিলেন। সেই তালিকায় নাম থাকা রাজাকারদের একজনের ছেলে মকছুদ মিয়া এখন কক্সবাজারের মহেশখালীর পৌর মেয়র। আনোয়ারের অভিযোগ, ‘মকছুদ মিয়া প্রভাব বিস্তার করে তার সরকারি চাকরি হওয়া ঠেকিয়েছে।’

নিয়মিত ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরায় নিজের অবস্থানের জানান দিয়ে থাকেন আনোয়ার হোসেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে হাজির হন তিনি। কারণ গত ১৯ ডিসেম্বর মহেশখালী পৌরসভার মেয়র মকছুদ মিয়ার ভাগনের দায়ের করা মামলায় তিন নম্বর আসামি করা হয়েছে তাকে। আনোয়ারের দাবি, ‘ঘটনার দিন তিনি ঢাকায় অফিস করছিলেন। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজেও আছে সেই প্রমাণ।’

আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘তারা আমাকে মার্ডার কেস কিংবা এ ধরনের কোনো কিছুতে জড়াতে না পারে সে জন্য আমি সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে এসে নিজের অবস্থান জানান দিই। অফিসের ছুটির দিনগুলোতে ঢাকার যেখানেই থাকি সিসিটিভি ক্যামেরার সামনে এসে নিজের অবস্থান জানান দিই। মহেশখালীতে এমন একজন পৌর মেয়রের দায়িত্বে আছেন যার বাবা একাত্তরের পরাজিত শক্তি, রাজাকার ছিলেন। তারা যেকোনোভাবে আমার পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্টে প্রভাব বিস্তার করেছে।’