মারা গেলেন আরো ৩৭ জন, শনাক্ত ২,৪৫৯

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৪৫৯ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৬১৮ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জন।

আজ রবিবার (১৯ জুলাই) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ২৯ জন পুরুষ এবং আটজন নারী। এঁদের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে একজন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে একজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে তিনজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে চারজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে একজন এবং ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে দুই হাজার ৬১৮ জনের।

এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদের মধ্যে পুরুষ দুই হাজার ৬৯ জন এবং নারী ৫৪৯ জন। আর বয়স বিবেচনায় এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা এঁদের বয়স ০ (শূন্য) থেকে ১০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে ২৯ জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ৭৯ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৮১ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৩৭০ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৭৭৮ জন এবং ষাটোর্ধ এক হাজার ১৬৪ জন।

জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ১৫ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের আটজন, রাজশাহী বিভাগের তিনজন, খুলনা বিভাগের সাতজন, সিলেট বিভাগের দুইজন, ময়মনসিংহ বিভাগের একজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ৩২ জন এবং বাসায় পাঁচজন।

বিভাগ অনুযায়ী এ পর্যন্ত যাঁরা মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁরা ঢাকা বিভাগের এক হাজার ২৮৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৬৬৬ জন, রাজশাহী বিভাগের ১৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ১৬৩ জন, বরিশাল বিভাগের ৯৮ জন, সিলেট বিভাগের ১২২ জন, রংপুর বিভাগের ৮৮ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৫৮ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৫৪৬ জন। এ নিয়ে দেশের করোনা সংক্রমণ থেকে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন এক লাখ ১১ হাজার ৬৪২ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১০ হাজার ৯৩৫টি। একই সময় পূর্বের নমুনাসহ পরীক্ষা হয়েছে ১০ হাজার ৬২৫টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে দুই হাজার ৪৫৯ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন দুই লাখ চার হাজার ৫২৫ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১০ লাখ ২৮ হাজার ২৯৯টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬০৯ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ৫১৬ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ৪২ হাজার ১৪৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৫৬ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৮ হাজার ৫৯১ জন।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিনে গেছেন এক হাজার ৬৮৬ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট চার লাখ ৯ হাজার ৯৯৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই হাজার ৫২৫ জন। এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন তিন লাখ ৫০ হাজার ১৪৩ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৯ হাজার ৮৫৪ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে ৯৬ হাজার ২৮৩টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ফোনকল গ্রহণ করা হয়েছে এক কোটি ৬৯ লাখ ২৪ হাজার ৬৮১টি। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

প্লাটফর্ম মুক্তপাঠ-এ অনলাইনে সেবা দেওয়ার জন্য গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্ত হয়েছেন আরো তিনজন চিকিৎসক। এ নিয়ে এই বিভাগে বর্তমানে মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা ১৬ হাজার ৪৯৫ জন। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।