মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিতে দ্বিতীয়বার ধরা পড়লেই মামলা

২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৩০ কোটি ১৪ লাখ ২২ হাজার ১৮৬ কোটি টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার করে ধ্বংস করা হয়েছে। এ ছাড়া জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনিবন্ধিত ও ভেজাল ওষুধ সংরক্ষণের দায়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭ কোটি ২৬ লাখ ১০ হাজার ২০৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ঘটনায় মোবাইল কোর্টে এক হাজার ৪৩৭টি মামলা করা হয়েছে।

সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) হাইকোর্ট ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের দাখিল করা প্রতিবেদনে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি মো.খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ আগামী ৩ মাসের মধ্যে বাজার থেকে সব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দেন।

একই সঙ্গে ফার্মেসিতে অভিযানের পাশাপাশি ওষুধ তৈরির কারখানাগুলোতে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। আদালত বলেন, উন্নত দেশগুলোর মতো আধুনিক করতে হলে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে ঢেলে সাজাতে হবে।

এ ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠান মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রিতে দ্বিতীয়বার অভিযুক্ত হলে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এর আগে এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট সারাদেশে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সংরক্ষণ ও বিক্রি বন্ধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ প্রত্যাহার ও ধ্বংস করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়।

২০১৯ সালের ১০ মে মাসে এক অনুষ্ঠানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপপরিচালক মঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঢাকা শহরের ৯৩ শতাংশ ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখা হয়। এ বিষয়ে সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে রিট করেন ওই বছরের ১৭ জুন জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের পক্ষে নির্বাহী পরিচালক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন।