‘মেয়েরা যেকোনো সময় প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে, আমারও ভয় ছিল’

হৃতিক-কঙ্গনার লড়াই দিন কয়েক আগেও হেডলাইনে ছিল। আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছিল তাদের ঝগড়া। ফের সেই ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন কঙ্গনা রানাওয়াত। এবার আরও আক্রমণাত্মক মেজাজে তিনি। সম্প্রতি নিউজ এইটিনে এক সাক্ষাত্কারে সরাসরি হৃতিককে ক্ষমা চাওয়ার কথা বললেন তিনি।

কঙ্গনার দাবি, তাদের সম্পর্কে যা ঘটেছিল, সে বিষয়ে তার আরো অনেক কিছু বলা বাকি। হৃত্বিকের সঙ্গে ঝামেলার সময় ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই তাকে বলেন, ক্ষমা না চাইলে কঙ্গনাকে জেলের ভিতরেও দিন কাটাতে হতে পারে। কঙ্গনা বলেন, ‘আমি ভয় পেয়েছিলাম। কত কিছু ঘটছে আমাদের চারপাশে। ওই মালয়ালাম অভিনেত্রীর সঙ্গে কী হল…। ওই অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করে সেই ভিডিও ভাইরাল পর্যন্ত করে দেওয়া হয়েছে। কারণ ওই অভিনেত্রী অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রীর কাছে তার কীর্তিকলাপ সম্পর্কে জানিয়ে দিয়েছিলেন। যদিও সেটা আমার ঘটনার পরে ঘটেছিল। তবে কিছু তো বলা যায় না…। মেয়েরা যেকোনো সময় প্রেগন্যান্ট হয়ে পড়ে, আমারও ভয় ছিল।’

এমনকী, হৃতিকের বিরুদ্ধে তার ই-মেইল হ্যাক করারও অভিযোগ এনেছেন নায়িকা। কঙ্গনা বলেন, ‘হৃতিক আমার ই-মেইলের পাসওয়ার্ড জানত। ও সেটা থেকে নিজেই প্রচুর ইমেল পাঠিয়েছিল। পরে সেগুলোই আমি ওকে পাঠিয়েছি বলে প্রকাশ্যে নিয়ে আসে। সে সময় ওর বাবাকে গোটা ব্যাপারটা জানিয়ে আমি সাহায্য চেয়েছিলাম। উনি সাহায্য করবেন বলেছিলেন। কিন্তু উনি কথা রাখেননি।’

ওই সাক্ষাত্কারে কঙ্গনা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনো দিন কোনো অবস্থাতেই হৃতিকের কাছে ক্ষমা চাইবেন না। বরং হৃতিকেরই তার কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। কঙ্গনা বলেন, ‘আমি তো ওর মুখোমুখি হতে চাইছি। ও আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে।’

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, সে সময় হৃতিক ও তার বাবা রাকেশ রোশন কঙ্গনার বিরুদ্ধে অনেক কিছু দাবি করলেও সে সব কিছু তারা প্রমাণ করতে পারেননি। কিন্তু এর ফলে কঙ্গনার পেশাদার ও ব্যক্তিগত জীবন ধাক্কা খেয়েছিল বলে দাবি করেন অভিনেত্রী।