মৌসুমের অর্ধেক সময় পার হলেও দেখা নেই ইলিশের

মৌসুমের অর্ধেক সময় পার হলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশের দেখা নেই উপকূলের নদী ও সমুদ্রে। অন্যদিকে মৌসুমের শুরু থেকেই বিরূপ আবহাওয়ায় মাছ ধরার পরিবেশ পাচ্ছেন না জেলেরা। বারবার লোকসানে অনেকেই পূঁজি হারিয়ে ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। মাছ না থাকায় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটা বিএফডিসি ঘাটেও নেই কর্মব্যস্ততা।

গভীর সমুদ্র উত্তাল, তাই মাছ ধরা বন্ধ করে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই উপকূলে ফিরেছে শত শত ট্রলার। মৌসুমের শুরুতে জেলেরা ১৫ থেকে ২০ দিনের খাদ্য সামগ্রী নিয়ে যতবারই গভীর সমুদ্রে গেছে ততোবারই ফেরত এসেছে অনেকটা খালি ট্রলার নিয়ে। প্রতিবার এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা লোকসান হওয়ায় নিঃস্ব হয়েছেন অনেক ট্রলার মালিক। আর মৌসুমের শুরু থেকে কঠোর পরিশ্রম করেও মজুরি পাচ্ছেন না জেলেরা।

তারা বলেন, ১০-১২টা ট্রিপ দিয়েও আমরা কোনো টাকা পাইনি।

এই অবস্থায় মাছ নেই পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। কর্মব্যস্ততাও না থাকায় শ্রমিকরা পার করছেন অলস সময়। আড়তগুলোতে সামান্য কিছু মাছ ওঠায় শুরু থেকেই লোকসান গুণতে হচ্ছে পাইকার ও আড়ত মালিকদের।

পাইকাররা বলেন, মাছ অনেক কম হওয়ায় দাম বেশি। আমাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। অবশ্য বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, আবহাওয়া ঠিক হলেই বাড়বে মাছের পরিমাণ।

বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লে. এম নুরুল আমিন বলেন, সমুদ্রে নিম্নচাপের কারণে মাছ অনেক কম। এছাড়া জেলেরা সেখানে অবস্থানও করতে পারছেন না। তাই তারা আবার চলে আসছেন। আবহাওয়া ঠিক হলেই মাছ ধরা পড়বে।

আষাঢ় থেকে অগ্রহায়ণ পর্যন্ত সময়কে ইলিশ মৌসুম ধরা হয়। সে হিসেবে ইলিশ মৌসুমের প্রায় অর্ধেকটা সময় পার হয়েছে।

মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১১ টি নিম্নচাপের ফলে সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ করে উপকূলে ফিরেছে বরগুনার জেলেরা। তাই সমুদ্রে মাছ থাকলেও মাছ নেই এ অবতরণ কেন্দ্রে। গত বছর আগষ্ট মাসে ১১৪৯ মেট্রিক টন মাছ বিক্রি হলেও এ বছর মাছ বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬৪২ মেট্রিক টন।