যশোরের কেশবপুরে বিভিন্ন সড়কের মরা গাছে ঝুঁকিতে পথচারীরা, দ্রুত অপসারণের দাবী

যশোরের কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কের মরা গাছ পথচারীদের ঝুঁকি বেড়েছে। জেলা পরিষদের গাফিলতির কারণে বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে ঝুঁকির কারণসহ আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। দ্রুত অপসারণের দাবী এলাকাবাসীসহ পথচারীদের।

উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দেখা গেছে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সড়কের দু’পাশে জেলা পরিষদের লাগানো বড় বড় বিভিন্ন বনজ বৃক্ষ মরে শুকিয়ে গেছে। বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টির কারণে মরা গাছের শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের গায়ে পড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে চলেছে।
ইতোমধ্যে উপজেলার ভেরচী থেকে কলাগাছি সড়ক, কেশবপুর থেকে রাজগঞ্জ সড়ক, সাগরদাঁড়ি সড়ক, হাসানপুর থেকে বগা সড়ক, কেশবপুর থেকে পাঁজিয়া সড়ক, কেশবপুর থেকে ফতেপুর সড়কের পাশে লাগানো বড়ো বড়ো বিভিন্ন প্রকারের গাছ অনেক আগে মারা গেছে। কোটি কোটি টাকার সম্পদ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে সম্পূর্ণ উদাসীন।

জেলা পরিষদের গাফিলতির কারণে বর্ষা মৌসুমে পথচারীদের চলাচলে ঝুঁকি বেড়েছে। বিভিন্ন সময়ে মরাগাছের ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের আহত হওয়ার ঘটনা ঘটছে।

উপজেলার সুফলাকাটি ইউনিয়নের একজন স্কুল শিক্ষক বলেন, নয়াপাড়া থেকে চুকনগর সড়কের দুইধারে অনেক গাছ মারা গেছে এবং তার ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের গায়ে পড়ে অনেক লোক আহত হয়েছে। কয়দিন আগে মরা গাছের ডাল ভেঙ্গে পড়ে এক পথচারী পল্লী চিকিৎসক মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে গৌরিঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম হাবিবুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়নের ভেরচী সড়কের দু’পাশে প্রচুর গাছ শুকিয়ে নষ্ট হয়ে গেছে। বহুবার লিখিত এমনকি মৌখিক ভাবে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম আরাফাত হোসেন বলেন, সড়কে অনেক গাছ মারা যেয়ে শুকিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে সড়ক গুলো চিহ্নিত করা হয়েছে এবং জেলা পরিষদকে অবহিত করা হয়েছে। জেলা পরিষদও খুব দ্রুত মরা গাছগুলো অপসারণের ব্যাবস্থা গ্রহন করবে।

এ ব্যাপারে যশোর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিপুল বলেন, বিষয়টি আমি অনেক আগেই জেনেছি। শুকনো ডাল-পালা ভেঙ্গে পড়ে পথচারীদের অনেক ঝুঁকি বেড়েছে। দ্রুত মরা গাছ-গাছালি অপসারণের ব্যবস্থা নেয়া হবে।