যশোরের মনিরামপুরে মুক্তেশ্বরী নদীর মাটি খনন করতে গিয়ে কষ্টিপাথরের মূর্তি উদ্ধার

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার ঢাকুরিয়া বারপাড়া এলাকায় মুক্তেশ্বরী নদীর মাটি খনন করতে গিয়ে কষ্টিপাথরের একটি মূর্তি উদ্ধার হয়েছে। কৃষ্ণের দুই পা বিহীন ওই মূর্তিটি প্রায় ১০ কেজি ওজনের। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে মূর্তিটি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বারপাড়া এলাকার মাটি শ্রমিক বাবুল হোসেন জানান- ঢাকুরিয়া বারপাড়া গ্রামের কঙ্কন কুন্ডু মুক্তেশ্বরী নদীর পাশে ঘাসফড়িং এগ্রো নামে একটি মুরগির ফার্ম নির্মাণ করছেন। ওই ফার্মের ভিতরে গর্ত ভরাটের জন্য নদীর পাড় থেকে মাটি কাটা হচ্ছিলো।

গত শনিবার (১৬ মার্চ) মাটিকাটা কালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি একটি মূর্তি উদ্ধার করেন। কিসের মূর্তি বুঝতে না পেরে তিনি সেটি কঙ্কন কুন্ডুর চাচা গৌতম কুন্ডুর কাছে দিয়ে দেন। তারা সেই মূর্তিটি মন্দিরের রেখে পূজাও করে। খবর পেয়ে কঙ্কন কুন্ডু এসে মূর্তিটি নিয়ে যশোরে চলে যান।

এ বিষয়ে গৌতম কুন্ডু জানান- উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি কৃষ্ণ ঠাকুরের। দুই পা বিহীন মূর্তিটির ওজন প্রায় ১০ কেজি। তার ভাইপো কঙ্কন যশোরে ব্যবসা করেন। খবর পেয়ে তিনি বাড়িতে এসেছিলেন এবং মূর্তিটি দেখে সেটি কষ্টিপাথরের বলে জানায়। এরপর সেটি জেলা প্রশাসকের কাছে জমা দেবেন বলে নিয়ে গেছেন।

তিনি আরো জানান- যেখানে মূর্তিটি পাওয়া গেছে ওই স্থানে ব্রিটিশ আমলে পূজা হতো। পুজা শেষে প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হতো মুক্তশ্বেরী নদীতে। উদ্ধার হওয়া মূর্তিটি ওই সময়কার হতে পারে।এদিকে বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে বিকেলে কঙ্কন কুন্ড, তার স্ত্রী ও চাচা গৌতম কুন্ডু মূর্তিটি জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ সময় কঙ্কন কুন্ডু ও তার স্ত্রী মূর্তিটি তাদের মন্দিরে রেখে পূজা অর্চনা করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে অনুরোধ করেন। তবে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।