যশোরের রাজগঞ্জে তীব্র রোদ আর গরম! বাড়ছে জ্বরের প্রকোপ

আষাঢ়ের শেষ অথচ বৃষ্টির দেখা নেই, জমিতে পানি নেই, চাষি জমি ফেটে গেছে। তাই মণিরামপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে ধান লাগানোর ভরা মৌসুমে পানির অভাবে আমন ধান লাগাতে বিলম্ব হচ্ছে কৃষকের।

আকাশে মেঘ হচ্ছে। বৃষ্টিও হচ্ছে। কিন্তু ফিঁসফিঁস করে। পর্যাপ্ত না। তীব্র রোদের সাথে, যোগ হয়েছে ভ্যাপসা গরম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে সর্দি জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে উপজেলাব্যাপী। বলা চলে মণিরামপুর উপজেলার প্রত্যেক গ্রাম, মহল্লা পেরিয়ে বাড়িতে বাড়িতে দেখাযাচ্ছে জ্বর সর্দিকাশি রোগী।
মণিরামপুরের বিভিন্ন পল্লী চিকিৎসকের চেম্বার গুলোতে অন্য সময়ের চাইতে কয়েকগুণ রোগী বেড়েগেছে। বিশেষ করে শিশু বা অল্প বয়সী রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
মণিরামপুর বাজারের ওষুধের দোকানগুলোতে প্যারাসিটামল ওষুধের সংকট চলছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুলাই) বিকেলে মণিরামপুর বাজারের শিশু অভিজ্ঞ চিকিৎসক চন্দ্র শেখর কুন্ডুর চেম্বারে দেখাযায় জ্বর সর্দিকাশিতে আক্রান্ত বহু রোগী অপেক্ষা করছে পরামর্শ ও ওষুধ নেওয়ার জন্য।

স্থানীয় একজন পল্লী চিকিৎসক জানান, বর্তমান আবহাওয়ায় হঠাৎ মানুষ জ্বর সর্দিকাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। তবে এ জ্বর ৩/৪ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে আবহাওয়াবিদরা বলছেন- এমাসের ১৫ তারিখের আগে বৃষ্টির সম্ভবনা কম। তবে ১৫ তারিখের পরে বৃষ্টি হবার সম্ভবনা আছে। পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত তীব্র রোদ আর ভ্যাবসা গরম চলমান থাকবে।

তবে ঈদের দিন থেকে বিদ্যুতের লোডশেডিং না থাকায় কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছে মানুষ। মণিরামপুর বাজারের কয়েকটি ওষুধের দোকানে গিয়ে দেখাগেছে বেক্সিমকো কোম্পানীর নাপা গ্রুপের কোনো ওষুধ নেই। অন্য কোম্পানীর প্যারাসিটামল ওষুধ পাওয়া গেলেও অত্যন্ত কম পাওয়া যাচ্ছে।