যশোরের রাজগঞ্জে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি : অসহায় জনগন

মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ বাজারে দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতিতে জনগন অসহায় হয়ে পড়েছে। বিষয়টির দিকে নজর দিতে রাজগঞ্জবাসি উপজেলা হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

রাজগঞ্জ এলাকার সাধারণ মানুষদের অভিযোগে জানাগেছে- মানুষের অতি ব্যবহৃত ভোগ্যপণ্যগুলো, এ বাজারের গুটি কয়েকজন বড় ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দাম বৃদ্ধি করে মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। যার ফলে কয়দিন পরপর বিভিন্ন পণ্যের দাম বাড়তেই আছে। আর এর মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ ভোক্তাদের। এভাবে দাম বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ক্রমশ সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে অসহায় হয়ে পড়েছে জনগন।

ব্যবসায়ীরা করোনা সংকট এবং আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে সিন্ডিকেট করে ভোক্তাদের কাছ থেকে পণ্যের দাম বেশি নিয়ে ভোক্তাদের ঠকাচ্ছেন।
বর্তমান দেশ পরিচালনায় সফল সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার উদেশ্যে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদের কাছ থেকে পণ্যের দাম বেশি নিয়ে তাদেরকে খেপিয়ে তুলছে। রাজগঞ্জ এলাকার সচেতন সমাজ বলেন- নিয়মিত বাজারে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায়, ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত দামে দেদারছে পণ্য বিক্রি করছে।

খোঁজখবর নিয়ে জানাগেছে- রাজগঞ্জ বাজারে মাছ, মাংস, মুদিমাল, কাঁচা তরকারি, মিষ্টি, ফল-ফলাদি, প্রসাধনী, চাল, ডাল, তেল, ডিম, গরু-ছাগলের খাদ্যসহ যেনো সকল পণ্যের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে রয়েছে। সাধারণ মানুষ কোনো রকম বেচে থাকার মতো করে পণ্যসামগ্রী কিনে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন।

করোনা মহামারীকালীন সময়ে বিগত দুই বছর ধরে মানুষের আয় রোজগার খুবই সীমিত হয়ে পড়েছে। মধ্যবিত্ত শ্রেণি থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ কোনোভাবে খেয়ে পড়ে জীবিকা নির্বাহ করছে। এ অবস্থায় কোনো প্রকার কারণ ছাড়াই যদি দফায় দফায় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকে, তাহলে জনগন যাবে কোথায়। রাজগঞ্জের সচেতন নাগরিক সমাজ বলেন- আমরা বিশ্বাস করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনগনের সরকার। তাই জগগনের অসহায়ত্ব, দুর্দশা, দুর্দিনের কথা ভেবে উপজেলা প্রশাসন বিষয়টি নজরে নিয়ে অবশ্যই বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।