যশোরের রাজগঞ্জে সরকার নির্ধারিত দামে মিলছে না এলপি গ্যাস, চরম ঠকা ঠকছে ভোক্তা

যশোরের মনিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জে সরকারের বেধে দেয়া দামে মিলছে না তরলিকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সিলিন্ডার। গ্যাস বিক্রির দোকানীরা বেশি দামে বিক্রি করছে এই গ্যাস সিলিন্ডার। রাজগঞ্জের কোনো দোকান থেকে সরকার নির্ধারিত দামে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারছে ক্রেতারা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) গত ৩ জুলাই ১২ কেজির গ্যাস সিলিন্ডারের খুচরা পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করে ৯৯৯ টাকা। কিন্তু এই দামে কোনো দোকানে সিলিন্ডার পাওয়া যাচ্ছে না। রাজগঞ্জ বাজারের গ্যাস বিক্রির দোকানীদের বিরুদ্ধে, বেশি দামে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সরেজমিনে শুক্রবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজগঞ্জ বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে যেয়ে দেখা গেছে- সকল প্রকার গ্যাস সিলিন্ডার সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অন্তত ২০০ থেকে ৩০০শ’ টাকা বেশি দামে দোকানদাররা বিক্রি করছেন। রাজগঞ্জ বাজারের পুলেরহাট রোডের গ্যাস বিক্রেতা আলমগীর কবির জানান- সরকার নির্ধারিত দামে, আমরা গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে পারছি না। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। ফলে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

কোম্পানি থেকে গ্যাস সিলিন্ডার দেচ্ছে না। বসুন্ধরা কোম্পানি আমাদের মতো দোকানে গ্যাস সিলিন্ডার দেচ্ছে না। রাজগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার গ্যাস বিক্রেতা আব্দুল ওহাব বলেন- সরকার নির্ধারিত মূল্যে আমরা গ্যাস কিনতে পারছিনা। বসুন্ধরা গ্যাস মোট নেই। ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার আছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দামে গ্যাস সিলিন্ডার কোম্পানি থেকে সরবরাহ করছে না। এই প্রতিবেদক নিজেই রাজগঞ্জ বাজারের আলমের দোকান থেকে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার ১২শ’ ৮০ টাকা দিয়ে কিনেছেন।

এই প্রতিবেদক বলেন- সরকার দাম কমার ঘোষণা দিয়েছে প্রায় ১ মাস হয়েছে। অথচ, ১২শ’ ৮০ টাকায় বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার কিনতে হলো। তাও আবার দোকানদার বলল এটাই শেষ, আর কোম্পানি না দিলে পাওয়া যাবে না। সরকার দাম কমালে কোম্পানি ও দোকানীরা কৃত্রিম সংকট করে দাম বাড়ার পাঁয়তারা করে বলেও মন্তব্য করেন ভোক্তারা। রাজগঞ্জ বাজারে বসুন্ধরা গ্যাস সিলিন্ডার ১২শ’ ৮০ টাকা, ওমেরা গ্যাস সিলিন্ডার ১১শ’ ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দামে না পেয়ে ঠকছে ভোক্তা সাধারন।

উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হচ্ছে- গ্যাস সিলিন্ডার বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না। যদি কোনো দোকানদার সরকার নির্ধারিত দাম ছাড়া বেশি দামে বিক্রি করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিষয়টির দিকে নজর দেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হচ্ছে।