যুক্তরাষ্ট্রকেও ঢুকতে দেবে না মিয়ানমার! জোর কোথায়?

১৯৪৮ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে মিয়ানমারের রাজনীতিসহ বৈদেশিক সম্পর্ক ঠিক করে আসছে দেশটির সেনাবাহিনী।

সেই হিসেবে অর্ধ শতকেরও বেশি সময় ধরে দেশটিতে শাসন চলছে সেনাবাহিনীর। ১৯৯০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দেশটির বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
কিন্তু অং সান সু চি ক্ষমতায় আসার পর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের কোন কর্মকর্তাকে সহিংসতাপূর্ণ অঞ্চলে যেতে দেয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে মিয়ানমার। সহিংসতাপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী মন্ত্রী প্যাট্রিক মারফি আহবান জানানোর পরপরই এ বিবৃতি দিল মিয়ানমার। শুক্রবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স খবর প্রকাশ করে।

খবরে বলা হয়, মিয়ানমার রাখাইনের রাজ্যসচিব টিন মং সুই জানিয়েছে, তিনি (মার্কিন সহকারী মন্ত্রী) রাজধানী নেপিডো-তে সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

এছাড়া অং সান সুচির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে পারেন। কিন্তু কোন মার্কিন কর্মকর্তাকে সহিংসতাপূর্ণ অঞ্চলে প্রবেশ করার অনুমতি দেয়া হবে না। মিয়ানমার পররাষ্ট্র দপ্তরের কর্মকর্তা তিন মাউং সি বলেন, রাখাইন রাজ্যের রাজধানী ‘সিত্তে’ ভ্রমণ করতে পারেন তিনি। তবে রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে যেতে পারবেন না।

তাদের খুঁটির জোর হচ্ছে চীন এবং ইসরায়েল। এই দুই দেশ সরাসরি মিয়ানমারকে সাপোর্ট দিয়ে আসছে।

যদিও মিয়ানমারের কাছে চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসরায়েল ও ইউক্রেনসহ বিভিন্ন দেশ অস্ত্র বিক্রি করে আসছে।

মিয়ানমারের কাছে বিমান বিক্রি করেছে চীন একশ ২০ টি, রাশিয়া ৬৪ টি, পোল্যান্ড ৩৫ টি, জার্মানি ২০ টি, ভারত ৯ টি। এছাড়া ট্যাংক বিক্রি করেছে চীন ছয়শ ৯৬ টি, ভারত ২০ টি, ইসরায়েল একশ ২০ টি ও ইউক্রেন ৫০ টি।

রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করেছে দুই হাজার নয়শ ৭১ টি, চীন এক হাজার ২৯ টি, বেলুরাস একশ দুইটি, বুলগেরিয়া একশটি এবং ইউক্রেন ১০ টি।

এছাড়া ২১ টি যুদ্ধজাহাজও বিক্রি করেছে চীন; কামান বিক্রি করেছে একশ ২৫ টি, আর রাশিয়া একশটি; যেখানে ভারত বিক্রি করেছে ১০ টি।