যে কারণে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে করোনা মহামারী, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

দীর্ঘ দুই বছর ধরে বিশ্বজুড়ে দাপট দেখাচ্ছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। একের পর পর রূপ পাল্টে প্রতিদিন কেড়ে নিচ্ছে হাজার হাজার প্রাণ। বর্তমানে করোনার নতুন রূপ ‘ওমিক্রন’ আতঙ্কে ভুগছে বিশ্ব। এমতাবস্থায় কেন এই মহামারী দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে তা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গ্রেব্রিয়াসুস বুধবার সুইজার‌ল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় সংস্থাটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, বুস্টার ডোজের লক্ষ্য পূরণে ধনী দেশগুলোর অতিরিক্ত ভ্যাকসিন সংগ্রহের প্রবণতা প্রকট করছে টিকা বৈষম্য। এমন পদক্ষেপ আরও দীর্ঘস্থায়ী করছে করোনা মহামারী।

তেদ্রোস আধানম বলেন, কোনও দেশই এককভাবে মহামারী থেকে নিজেদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবে না। বিশ্বনেতাদের প্রতি গত দুই বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়ার আহ্বান জানান তেদ্রোস। ২০২২ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে বিশ্বের সব প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীকে টিকার আওতায় আনা সম্ভব বলে আশাবাদ জানান ডব্লিউএইচও মহাপরিচালক।

এদিকে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান নির্বাহী জানান, মহামারী শুরুর পর থেকে আফ্রিকায় করোনা সংক্রমণের হার সর্বনিম্ন ছিল। তবে করোনা ভাইরাসের সর্বোচ্চ সংক্রামক ধরন হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া ওমিক্রনের প্রভাবে প্রতিদিন আফ্রিকার দেশগুলোতে হু হু করে বাড়ছে এ রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। ২০২০ সালে মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বের যেসব অঞ্চলে সংক্রমণ সবচেয়ে কম হয়েছিল- সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল আফ্রিকা। কিন্তু ওমিক্রনের প্রভাবে সেই চিত্র বদলে গেছে। গত এক সপ্তাহে বিশ্বের যেসব অঞ্চলে করোনা সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি হয়েছে, সেসবের মধ্যে বর্তমানে চতুর্থ স্থানে আছে আফ্রিকা।

তেদ্রোস আধানম আরও বলেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ মহামারীর কবল থেকে মুক্ত হতে পারে বিশ্ব। বিশ্বজুড়ে টিকা বণ্টনে সমতা রক্ষা করা গেলেই এমনটা সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
সূত্র: সিএনবিসি