রেলের অব্যস্থাপনা নিয়ে প্রতিবাদ করা সেই রনি যে কারনে এখন চা বিক্রেতা

বাংলাদেশ রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে আলোচনায় আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তার করা সেই প্রতিবাদে দেশের মানুষও সমর্থন দেন। তবে এবার আর কোনো প্রতিবাদ নয়। বরং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষার্থী শুরু করেছেন নতুন এক ব্যবসা।বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় তিনি এখন ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করেন।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ নিয়ে মহিউদ্দিন রনি তার ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন আলহামদুলিল্লাহ, গতকাল আমার ১০০০ কাপ চা বিক্রি হলো। এক্সপেরিমেন্টাল পিরিয়ড ছিল তাই সেভাবে কাওকে জানানো হয়নি। গত ১ মাস যাবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে চা বিক্রি করছি। চায়ের সঙ্গে টা হিসেবে আইডিয়া বেচা ও কেনা যায়। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী চায়ের ব্যবসা বেজায় ভালো। অনেকেই বিষয়টি নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। তাদের জ্ঞাতার্থে, এটা কোনো সাময়িক সময়ের ক্যাম্পেইন বা নিছক মজার উদ্দেশ্যে নয়। আত্মশুদ্ধির আন্দোলন, ক্ষুধামন্দা দূরীকরণ ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সৎ উপায়ে উপার্জনের লক্ষ্যে ব্যবসাটা শুরু করেছি।

রনি আরও লিখেছেন, স্পেশাল রঙ চা পাওয়া যায়। শুভেচ্ছামূল্য মাত্র ১০ টাকা। বিকেল ৩টা থেকে রাত অব্দি পাওয়া যাবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রোকেয়া হলের যাত্রী ছাউনির বিপরীত পাশে ডাচের কর্ণারে পাওয়া যাবে চা। শুভাকাঙ্ক্ষী, বন্ধু, প্রিয়জন, শত্রুভাবাপন্ন, দলমত নির্বিশেষে, সকলকে চায়ের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। স্পেশাল রঙ চা পাওয়া যায়। শুভেচ্ছামূল্য মাত্র ১০ টাকা। চা খাবেন?

তবে তার এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানাচ্ছেন অনেকেই। আর নেটিজেনরা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক সাবেক, বর্তমান শিক্ষার্থী, স্টাফ, টিচার অনেকেই নিজেকে লুকিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা পরিচালনা করছেন। কিন্তু রনি সেই লুকোচুরির ভীত ভেঙে দুটি ফ্লাস্ক আর কিছু কাপ নিয়ে হাসিমুখে চা বিক্রি শুরু করেছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের নানা অনিয়ম, দুর্নীতি ও অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে আন্দোলনের মাধ্যমে সবার নজরে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন রনি। তিনি বিগত বছরের জুলাইয়ে এ আন্দোলন করে আলোচনায় আসেন। এ নিয়ে তখন রেলওয়ের সঙ্গে তার বৈঠকও হয় এবং তাদের আশ্বাসে রনি তখন আন্দোলন স্থগিত করেন।