‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে এখনো জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চলছে’

নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে নির্যাতনের শিকার হয়ে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চাপ থাকা সত্ত্বেও মিয়ানমার এখনো রোহিঙ্গা মুসলমানদের বিরুদ্ধে জাতিগত শুদ্ধি অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের ফ্রাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান মারজুকি দারুসমান এ তথ্য জানিয়েছেন। বুধবার নিউ ইয়র্কে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহ গণহত্যা শুরু হওয়ার পর থেকে ব্যাপক আন্তর্জাতিক নিন্দা ও চাপ সত্ত্বেও নির্যাতিত এই জনগোষ্ঠীর ওপর দমনপীড়ন বিন্দুমাত্র বন্ধ হয়নি। তাদের বিরুদ্ধে ভয়াবহতম নিপীড়ন চালানো হচ্ছে।

ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকাসহ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরও ছয় দেশের অনুরোধে মিয়ানমার বিষয়ক এক বিশেষ অধিবেশনের আগে দারুসমান বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে গণহত্যা শুরু হয়েছিল তা বন্ধ হয়নি এবং এই মুহূর্তেও তা চলছে।’

তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গা নারীদের ওপর পদ্ধতিগত গণধর্ষণ ও গণহত্যা চালানো হয়েছে। মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে চেপে যাওয়ার কারণে এই ভয়াবহ অপরাধ অব্যাহত থেকেছে।

জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের প্রধান বলেন, মিয়ানমার সরকারের মাধ্যমে এই জাতিগত শুদ্ধি অভিযান বন্ধ করা যাবে না। এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সমাজকে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

চলতি বছরের গত ২৫ আগস্টের পর থেকে নির্যাতনের মুখে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গারা আশ্রয়ের খোঁজে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে। এরপর থেকে রোহিঙ্গারা এ দুই উপজেলার বিভিন্ন পাহাড়ি এলাকার বনভূমিতে বসবাস করে আসছে।