লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের চাপ সৃষ্টি করা যাবে না- প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, লেখাপড়া নিয়ে শিশুদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা যাবে না। শিশুরা যাতে আনন্দ নিয়ে পড়ালেখা করতে পারে, সে লক্ষ্যে পাঠ্যক্রম তৈরি করা হচ্ছে।

পাশাপাশি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ইতিহাস শিশুদের জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

রোববার (১৭ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শিশু সমাবেশে এসব কথা জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সবসময় নির্যাতিতদের পক্ষে। গাজায় যখন শিশুদের হত্যা করা হয়, তখন বিশ্বের মানবাধিকার সংস্থাগুলোর মানবতাবোধ কোথায় থাকে। বিশ্বে অনেকেই শিশুর অধিকার, শিক্ষা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলে। কিন্তু পাশাপাশি তাদের দ্বিমুখী কার্যক্রম দেখা যায়। বলেন, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের নাগরিকদের মানবিক কারণে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। কিন্তু গাজায় যখন শিশু ও নারীদের হত্যা করা হচ্ছে, তখন বিশ্ব বিবেক কোথায় থাকে?

তিনি আরও বলেন, আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ।

অভিভাবকদের উদ্দেশ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি।

তিনি বলেন, আমাদের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গিকার।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধাটুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছল মেধাবীদের মধ্যে আর্থিক অনুদান তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। দর্শকসারিতে বসে উপভোগ করেন শিশুদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ‘এক তর্জনির নির্দেশ, স্বাধীন হলো বাংলাদেশ’।

এর আগে, রোববার বেলা পৌঁনে ১১টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় সশস্ত্র সালাম জানায়।