শাহজালালে সিডিউল বিপর্যয় চরমে

বিতর্কিত ও আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মুরব্বী মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীকে ঘিরে তাবলিগ জামাতের কোন্দলে বিমানের সিডিউল বিপর্যয় চরমে পৌঁছেছে।

৫৩তম বিশ্ব ইজতেমায় মাওলানা মোহাম্মদ সাদের আগমন ঠেকাতে সকাল থেকে বিমানবন্দরের সামনে অবস্থান নেন তাবলিগ জামাতের একটি অংশ ও আলেম-ওলামারা। এতে বুধবার দুপুর ১২টা থেকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত রাত সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মহাখালী পর্যন্ত আট কিলোমিটার রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় বাংলাদেশ বিমানের ৬টি ও অন্যান্য ১২টি এয়ারলাইন্সের অনেক ফ্লাইট যাত্রীর অভাবে অনটাইম উড্ডয়ন করতে পারেনি।

অল্প কয়েকটি ফ্লাইট নামমাত্র সংখ্যক যাত্রী নিয়ে উড্ডয়ন করেছে। এতে শাহজালাল বিমানবন্দরের আসা সব এয়ারলাইন্স কমবেশি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানিয়েছেন, রাস্তাজুড়ে তীব্র যানজটের কারণে বিমানের সবকটি ফ্লাইটের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। সময়মতো বিমানবন্দরে আসতে পারেননি অনেক যাত্রী। যে কারণে বেশিরভাগ ফ্লাইট ১ থেকে ৩ ঘণ্টা দেরি করে উড্ডয়ন করেছে।

বিমানবন্দর ফ্লাইট অপারেশন বিভাগ সূত্র জানায়, বিমানের জেদ্দাগামী বিজি-০৩৫ ফ্লাইট ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও সেটিকে ৮টা ৫০ মিনিটে রিসিডিউল করা হয়েছে। মাস্কাটগামী বিজি-১২১ ফ্লাইট ৭টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও সেটিকে ৮টা ৪০ মিনিটে রিসিডিউল করা হয়েছে। একইভাবে বিমানের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক সব রুটের ফ্লাইট দেরি করে ছেড়ে যাচ্ছে।

একই অবস্থার কথা জানিয়েছে বেসরকারি অন্যান্য এয়ারলাইন্সগুলো।

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের মার্কেটিং সাপোর্ট অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, তাদেরও সব ফ্লাইট অনটাইমে বিমানবন্দরে নামতে পারেনি। কুয়ালালামপুর, কাঠমান্ডু ও কলকাতার ফ্লাইট কম সংখ্যক যাত্রী নিয়েই উড্ডয়ন করেছে।

তিনি বলেন, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স অনটাইম এরাইভ্যাল ও ডিপার্সারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে।