শিক্ষাকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী করার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। একে বহুমুখীকরণ করা হয়েছে। জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে একে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে উচ্চমাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা সময় আমি দেখতে পাই, বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশ অনীহা ছিল। সে জন্য আমি ১১ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। বিজ্ঞানকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাদের আরও উন্নত হতে হবে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাকেও আধুনিক করা হচ্ছে।’

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফল প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন।

এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

দুপুর ১২টা থেকে নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে ফল আপলোড করা হবে। এ সময় থেকে যে কেউ রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিয়ে ওয়েবসাইট ও মোবাইলে এসএমএস করে ফল দেখতে পারবেন।

এ বছর ১২ লাখ ৩ হাজার ৪০৭ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে ৬ লাখ ২২ হাজার ৭৯৬ ছাত্র এবং ৫ লাখ ৮০ হাজার ৬১১ ছাত্রী। সারা দেশে ২ হাজার ৬৪৯টি কেন্দ্রে একযোগে এ পরীক্ষা নেয়া হয়।

মোট ১১টি শিক্ষাবোর্ডের মধ্যে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে পরীক্ষার্থী ছিল ৯ লাখ ৮৫ হাজার ৭১৩ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৫ লাখ ৮২ হাজার ১৮৩ এবং ছাত্রী ৫ লাখ ৩ হাজার ৫৩০ জন।

অন্যদিকে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ২ হাজার ৬৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপরীতে ৪৪৮টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৪ হাজার ৭৬৩ জন। এর মধ্যে ৫১ হাজার ৬৯৫ ছাত্র এবং ৪৩ হাজার ৬৮ ছাত্রী।

এছাড়া কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি), এইচএসসি (ভোকেশনাল), ডিপ্লোমা-ইন-কমার্স পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২২ হাজার ৯৩১। এর মধ্যে ৮৮ হাজার ৯১৮ ছাত্র এবং ৩৪ হাজার ১৩ ছাত্রী।