১২ কেজির

এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের সরকারি দাম ১ হাজার ৪৯৮ টাকা, বিক্রি হয় ইচ্ছেমতো

বাজারে এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম সরকারিভাবে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা বেঁধে দেয়া হলেও তা শুধু কাগজেই। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে এলপি গ্যাসে বিক্রি করছেন। কোনো কোনো জায়গায় ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার ২ হাজার টাকাতেও মিলছে না।

এক সিলিন্ডার এলপি গ্যাস কিনতেই প্রতি মাসে ২১৫ কোটি টাকা গচ্চা দিচ্ছেন ভোক্তারা। আর সমন্বিতভাবে এই অর্থ লোপাটে নেতৃত্ব দিচ্ছে উৎপাদনকারী মিল, ডিলার আর খুচরা বিক্রেতারা।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ভোক্তা অধিকারের সভাকক্ষে এক বৈঠকে এ দাবি করেন অধিদফতারের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এই অপকর্মের যথেষ্ট প্রমাণ আছে দাবি করে তিনি বলেন, অভিযান চালিয়েও সিলিন্ডার কারসাজি দমন করা যাচ্ছে না।

মিলগেট থেকেই এলপি গ্যাসের দাম বেশি রাখা হচ্ছে, এ নিয়ে সংস্থাটির কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে বলে দাবিও করেন এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি বলেন, প্রতি মাসে শুধু এলপি গ্যাস কিনতেই ভোক্তারা সোয়া ২০০ কোটি টাকার বেশি গচ্চা দিচ্ছেন।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানগুলোতে উঠে আসা তথ্য বলছে, একজন ক্রেতাকে প্রতিটি ১২ কেজির সিলিন্ডার কিনতে গড়ে ২৫০ টাকারও বেশি বাড়তি গুনতে হচ্ছে। সে হিসাবে ভোক্তারা বাড়তি ২২৫ কোটি টাকারও বেশি খরচ করছেন। এই বিশাল অঙ্কের অর্থ পকেটে ভরছেন এলপি গ্যাস উৎপাদন আর বিপণনের ত্রিমুখী সিন্ডিকেট। যার যথেষ্ট প্রমাণ সরকারের হাতে আছে বলেই দাবি অধিদফতরের।

এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) সচিব ব্যারিস্টার মো. খলিলুর রহমান বলেন, নির্ধারিত দামে বাজারে গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি হচ্ছে না। আইন অনুযায়ী এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

তবে সিলিন্ডারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানোর দায় নিতে রাজি নয় কেউই। বরং একে অন্যের ওপর দোষ চাপিয়ে যাচ্ছেন মিলার আর খুচরা বিক্রেতারা।

মিল মালিকদের দাবি, এলসি (ঋণপত্র) খুলতে না পারায় এলপি গ্যাস উৎপাদন সংকটে পড়েছে মিলগুলো।

এদিকে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন এলপি গ্যাসের দাম যৌক্তিক হারে বাড়ায়নি বলে মনে করেন উৎপাদনকারীরা।

বাজারে এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। ১২ কেজির একটি সিলিন্ডারের দাম সরকারিভাবে ১ হাজার ৪৯৮ টাকা বেঁধে দেয়া হলেও তা শুধু কাগজেই। বিক্রেতারা নিজেদের ইচ্ছেমতো দামে এলপি গ্যাসে বিক্রি করছেন। কোনো কোনো জায়গায় ১২ কেজির একটি সিলিন্ডার ২ হাজার টাকাতেও মিলছে না।