শিগগিরই স্কুল-কলেজ খুলে দেয়ার আশাবাদ শিক্ষামন্ত্রীর

করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার দিন দিন কমতে থাকায় শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার আশা জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন কমছে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া হবে।’

শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিলেট সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

এই সভায় দীপু মনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান সমস্যা নিয়েও কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে সরকার সব ধরনের চেষ্টা করছে। এ ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের অধিকারের পাশাপাশি দায়িত্বও আছে। সব সমস্যাই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব।

‘শাবির মতো সমস্যা প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই হয়। জাতীয় উদ্যোগের মাধ্যমে সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিরসনের জন্য সিলেটে গেছেন শিক্ষামন্ত্রী।শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ তার সঙ্গে রয়েছেন।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে তিনি বিমানযোগে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। এ সময় সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সংশ্লিষ্টরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

বিকেল ৩টায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশে সিলেট সার্কিট হাউস ত্যাগ করেবেন। বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত শাবিপ্রবির চলমান সংকট সমাধানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। পরে রাত ৮টা ২০ মিনিটে একটি ফ্লাইটে করে সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ জানুয়ারি একটি হলের প্রভোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের শুরু। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন এ হলের ছাত্রীরা। পরে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় ছাত্রলীগের কর্মীরা ছাত্রীদের আন্দোলনে হামলা চালালে পরের দিন হামলার প্রতিবাদ ও একই দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যান শিক্ষার্থীরা।

ওই দিন বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইআইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন শিক্ষার্থীদের ওপর লাঠিপেটা, শটগান, গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। ওই দিন রাতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্যাম্পাস ও হল বন্ধ করে দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।