শেখ হাসিনা মুখে যা বলেন তা তিনি করে দেখান : এমপি মহিব

বর্তমান সরকার শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে আধুনিক শিক্ষা কারিকুলাম প্রণয়ন, অবকাঠামো উন্নয়ন, প্রাথমিক শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা সহ উপবৃত্তি প্রদান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন করে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছেন।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারী) সকালে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় প্রফুল্ল মন ভৌমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন পটুয়াখালী- ৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মোঃ মহিববুর রহমান।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট নাথুরাম ভৌমিকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমপি মহিব আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলা সহ ২১ বার হত্যার লক্ষ্যে আক্রমণ করার পরও জীবন বাজি রেখে দেশের উন্নয়নে তিনি কাজ করছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাকিস্তানি ভাবধারা থেকে দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলছেন।

বর্তমানে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে তিনি কাজ করে চলছেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা মুখে যা বলেন তা তিনি করে দেখান। বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ করে পদ্মা সেতু নির্মান করে তিনি তা দেখিয়েছেন। তাই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে আপনারা উন্নয়নের সঙ্গে থাকুন, শেখ হাসিনার সঙ্গে থাকুন।’

বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত ৫০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এস এম রাকিবুল আহসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মোতালেব তালুকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ ফাতেমা আক্তার রেখা, কলাপাড়া পৌর মেয়র বিপুল চন্দ্র হাওলাদার, বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী ও মঠবাড়িয়া উপজেলার ইউএনও উর্মি ভৌমিক, বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থী বিজয় চন্দ্র সরকার, সাবক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন মাহমুদ প্রমূখ।

এর আগে সকালে অতিথিদের অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা স্কুল প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আকর্ষণীয় ডিসপ্লে প্রদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন অতিথিরা। পরে মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে উপবিষ্ট অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা, বিদ্যালয় এর প্রাক্তন শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের সংকলন ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। দুপুরে লাঞ্চ প্যাকেট বিতরনের পর বিকেলে দেশের বরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।