শেরপুর জেলায় সবজি চাষে কৃষকের স্বপ্ন পুরন

শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলায় আগাম শীতকালীন সবজি চাষ করে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।

সীমান্তবর্তী এই উপজেলায় ৭ টি ইউনিয়নের প্রায় সবখানে কমবেশি সবজি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলার, সন্ধ্যাকুড়া, ফাকরাবাদ, ভারুয়া, বনগাও, তিনআনী, টেংরাখালী, বনকালী,পাগলারমুখ নকশি সহ অন্যান্য এলাকায় সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে।

শীত মৌসুমের শুরুতে যে সব সবজি বাজারে আশা শুরু করেছে এর মধ্যে জালিকুমড়া,মিষ্টিলাউ,চিচিংগা, ফুলকপি,পাতাকপি,সিম, আলু,লাউ,বরবটি ও করলা সহ অন্যান্য শাকসবজি দেদারছে বিক্রি ও আমদানী হচ্ছে।

বনগাও ,টেংরাখালী ও সন্ধ্যাকুড়া সবজির জন্যে বিখ্যাত। প্রতিদিন সকালে পাইকাররা সবজি ক্রয় করার জন্যে ভিড় করে। কৃষকরাও ন্যায্য মূল্য পেয়ে বেজায় খুশি হয়েছেন।

এখান থেকে সবজি কিনে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা ও বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে। সবজি চাষি, আ:কাদির, সুলতান মিয়া, আ:করিম,আনিছ আহাম্মেদ জানায়,ধানের চেয়ে এবার সবজি চাষে ভালো লাভ হচ্ছে কৃষকের।

সিম চাষি আ: কাদির জানায় ২৫শতাংশ জমিতে আগাম সিম চাষ করে এবার ভালো লাভবান হয়েছে। বাজারে সবজির ন্যায্য মূল্য পেয়ে কৃষকরা অত্যান্ত খুশি। এ উপজেলার ২/৩টি ইউনিয়নে প্রচুর সবজির চাষ হয়। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের অন্যান্য জায়গায় ও বিদেশে রপ্তানী করা হয় এ সবজি।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুললে এই এলাকা সবজির উপজেলা হিসাবে আখ্যায়িত হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হুমায়ুন দিলদার জানায়,আমরা সবজি চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তুলার জন্যে মাঠ পর্যায়ে এ দপ্তরে নিয়োজিত লোকবল কাজ করে যাচ্ছে। আগামীতে সবজি চাষে কৃষকের সংখ্যা আরো বাড়বে বলে আশা করছি। কৃষকের উন্নয়নে সরকারের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার সবজি চাষ ভালো হয়েছে বলে জানান।