শয়তানের সঙ্গে জোট করে শয়তান : বিএনপিকে কাদের

শয়তানের সঙ্গে যারা জোট করতে চায়, তারাও তো শয়তান- মন্তব্য আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের। রাজপথে সক্রিয় থাকলে শয়তানের সঙ্গেই জোট- বিএনপির সমাবেশ থেকে আসা এমন বক্তব্যের জবাবে এই কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সোমবার রাজধানীর গুলশান -২ এ সপ্তাহব্যাপী জনসংযোগ কর্মসূচি উদ্বোধন করেন কাদের। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে এ কথা বলেন তিনি।

আগের দিন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রয়োজনে শয়তানের সঙ্গে ঐক্যের ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, নির্দলীয় সরকারের অধীনে যারা আন্দোলনে রাজপথে নামবে তাদের সঙ্গে আমাদের ঐক্য হবে। সেখানে যদি শয়তানও থাকে তাদের সাথেই ঐক্য হবে।’

এই মন্তব্যের বিষয়ে জবাব জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শয়তানের সাথে জোট করে তারা যারা নিজেরাই শয়তান।’

বিএনপির সমাবেশ থেকে ১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশ খালেদা জিয়ার হয়ে যাবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়। আর এ জন্য রাজপথ দখল করে নেয়ার হুমকিও দেয়া হয়।

এ বিষয়ে কাদের বলেন, ‘রাজপথ দখল করবে রাজপথ কে দখল করতে আসে দেখব। রাজপথ দখল করতে আসলে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেবে।’

বিএনপির জনসভায় যে দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির মধ্যেই ৩ অক্টোবর জেলায় জেলায় এবং পরদিন সব মহানগরে সমাবেশ করবে তারা।

ওবায়দুল কাদের নিশ্চয়তা দেন, একই সপ্তাহে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে দেশে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হবে না।

‘আওয়ামী লীগ বিএনপির সঙ্গে কোন পাল্টাপাল্টি নয়, নিরীহ কর্মসূচি পালন করবে। আমাদের কর্মসূচি হচ্ছে জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মসূচি। আমরা জনগণের কাছে যাব, উত্তেজনা ছড়াব না। কোন ধরনের উত্তেজনা ছড়াব না।’

‘আমরা মারামারি হানাহানি, পাল্টাপাল্টির মধ্যে নেই। সাম্প্রদায়িক শক্তি বিএনপি সহ সাম্প্রদায়িক শক্তি সহিংসতা- নাশকতা করে তাহলে আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করব। এটাই হচ্ছে আমাদের উদ্দেশ্য।’

বিএনপির জনসভায় তোলা সাত দাবিকে অযৌক্তিক, অবাস্তব এবং কোনো কোনোটি সংবিধানবিরোধী উল্লেখ করেন কাদের। বলেন, ‘এই সকল অবাস্তব দাবি এই সময়ে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার আর মাত্র এক মাস বাকি। এর মধ্যে মেনে নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। তারা নিজেরাই ক্ষমতায় থাকলে এই সময়ের মধ্যে এই দাবিগুলো মেনে নিতে পারবে না।’

‘এই দাবিগুলো তারা শুধুমাত্র বলার জন্য বলছে। তাদের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে এইসব আবোলতাবোল বকছে। তারাও জানে এই দাবিগুলো মেনে নেওয়ার কোন যৌক্তিকতা নেই।’