সমর্থকরা নিজ ইচ্ছায় হামলা করেছেন : ট্রাম্পের আইনজীবী

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিশংসিত করতে সিনেটের বিচার প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার। ঠিক এর আগে অভিশংসনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় তার আইনজীবী বলেছেন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থকরা তাদের নিজ ইচ্ছায় ক্যাপিটল ভবনে হামলা চালিয়েছেন। দাঙ্গাতে ট্রাম্পের কোনো হাত ছিল না।

গত ৬ জানুয়ারি কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন শুরু হওয়ার সময়ে সমর্থকদের উস্কানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। ডেমোক্র্যাটরা বলেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তাদের কাছে উপযুক্ত প্রমাণ রয়েছে। খবর বিবিসির

এদিকে রিপাবলিকানরা এই বিচার প্রক্রিয়াকে ‘অযৌক্তিক ও সংবিধানিক’ বলে অভিহিত করেছেন।

আদালত আনুষ্ঠানিকভাবে বসার আগেই ট্রাম্পের আইনজীবীরা ৭৫ পৃষ্ঠার একটি বক্তব্য জমা দিয়েছেন। সোমবার সকালে দেওয়া এই বক্তব্যের বিবরণীতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আর দেশের প্রেসিডেন্ট নেই। ক্ষমতায় নেই-এমন কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে অভিশংসন আদালত বসানোর এখতিয়ার আমেরিকার সংবিধান মার্কিন সিনেটকে দেয়নি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা ক্যাপিটল ভবনে উগ্র ট্রাম্প-সমর্থকদের হামলার পর বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে নির্ধারিত সময়ের আগেই পদ থেকে সরাতে ডেমোক্র্যাটরা প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসন প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

গত ১৩ জানুয়ারি সে প্রস্তাবের পক্ষে বিপক্ষে ভোটাভুটি হয়। ২৩২-১৯৭ ভোটে পাস হয় প্রস্তাবটি। ১০ জন রিপাবলিকানও এতে সমর্থন দেন। এর মধ্য দিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো কংগ্রেসের নিম্নকক্ষে অভিশংসিত হন ট্রাম্প। চূড়ান্ত অভিশংসনের জন্য প্রস্তাবটি সিনেটে পাঠানো হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ট্রাম্পই প্রথম কোনো সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে অভিশংসনের বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।এর আগে আর কোনো প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে এভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ভবিষ্যতে আর কোন সরকারি দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না।

তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের এই বিচার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে ঠিক প্রায় এক বছর পরে। সেসময় সিনেটে তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার মতো অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছিলেন তিনি।

ইতোমধ্যে বিচারকাজের জন্য শপথ নিয়েছেন মার্কিন সিনেটের ১০০ জন সদস্য। তাদের মধ্য থেকে উভয় পক্ষকে প্রশ্ন করে উত্তর জেনে নেওয়ার সুযোগ থাকবে।