সময় বাড়ল একুশে বইমেলার, শেষ হবে ১৭ মার্চ

অমর একুশে বইমেলার সময়সীমা ১৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।

আজ রবিবার সচিবালয়ের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের তিনি এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন। ওইদিন পর্যন্ত মেলার সময় বাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদন দিয়েছেন।

কে এম খালিদ বলেন, করোনার কারণে এবার মেলা নিয়ে আমরা একটা আতঙ্কের মধ্যে ছিলাম। একসময় সিদ্ধান্ত হয়েছিল মেলা স্থগিত করা হবে। পরে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলেন ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে মেলা শুরু করতে। উদ্বোধনের পর জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বিক্রেতা এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্তরা মেলার সময় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান।

আমরা তখনই বলেছি সংক্রমণ যদি কমতে থাকে তাহলে সময় বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করবো।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেছিলেন ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলা বাড়ানো যেতে পারে। তবে তা নির্ভর করছে আমাদের কোভিড পরিস্থিতির ওপর। সুসংবাদ হলো, আজ রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন এবং ১৭ মার্চ পর্যন্ত মেলার সময় বাড়ানো হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত বছর যারা বইমেলায় অংশ নেন তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। কারণ মেলা শুরু হয়েছিল ১৮ মার্চ। তখন ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মেলা চলার কথা থাকলেও ১২ তারিখে শেষ করতে হয়। এবার বিক্রেতারা সবাই চাইছিলেন সময়টা বাড়ানো হোক। সময় বাড়ালে সেই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।

এবার কিন্তু মেলায় মানুষের ঢল নেমেছে। আমরা চেষ্টা করছি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মেলা পরিচালনা করতে। মাস্ক পড়ার বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি আদৌ কতটুকু মানা হচ্ছে এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অনেকে মাস্ক পড়তে চান না। ঢোকার সময় হয়তো পড়েন কিন্তু ভেতরে গিয়ে খুলে ফেলেন। মেলায় যারা যান, তারা কিন্তু স্বজ্জন ব্যক্তি। তাই অনুরোধ করবো তারা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন।

প্রসঙ্গত, কয়েক দশক ধরে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই বইমেলা শুরু হয়ে আসছে। তবে করোনা মহামারির কারণে চলতি বছর মেলা দুই সপ্তাহ দেরিতে শুরু হয়। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর বইমেলার দ্বার সবার জন্য উন্মুক্ত হয়ে যায়।

মেলা উদ্বোধনকালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২১ দেওয়া হয়। এবার ১৫ জন বিশিষ্ট লেখক-কবি-সাহিত্যিক পান এ পুরস্কার। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ পুরস্কার তুলে দেন। বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।