সরকারি হজ কোটা পূরণে উপায় খুঁজছে মন্ত্রণালয়

সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার হজযাত্রীর নির্ধারিত পূর্ণাঙ্গ কোটা পূরণের উপায় খুঁজছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

চলতি বছর সৌদি সরকার বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জনসহ মোট এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনকে পবিত্র হজ পালনের জন্য অনুমতি দেয়।

ইতোমধ্যে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় পূর্ণাঙ্গ কোটা পূরণ হলেও সরকারি ১০ হাজার কোটার মধ্যে এখনও প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০ কোটা শূন্য রয়ে গেছে। দফায় দফায় নিবন্ধনের জন্য সময়সীমা বৃদ্ধি করেও এ কোটা পূরণ করা যায়নি।

সর্বশেষ সরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনের জন্য আগামী ১৫ মে পর্যন্ত আরেক দফা সময়সীমা বৃদ্ধি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।

গত ৭ মে এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আবুল হাসান স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের বরাত দিয়ে জানান, সরকারি ব্যবস্থাপনায় নির্ধারিত ১০ হাজার কোটার মধ্যে এখনও প্রায় পাঁচ হাজার ৮০০টি কোটা নিবন্ধন হয়নি।

অপূরণকৃত ওই কোটা পূরণ করে কি উপায়ে হজগমনেচ্ছুদের পাঠানো যায় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট শীর্ষ দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলার মতো সময় এখনও আসেনি বলে তিনি জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে মন্ত্রণালয়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সরকারিভাবে এখনও লোক পাঠানোর সুযোগ রয়েছে। সৌদি সরকারের ই-হজ পদ্ধতিতে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় নিবন্ধনকৃত হজযাত্রীদের বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত (হজ এজেন্সির নাম, মোয়াল্লেম, হজযাত্রীর নাম, পাসপোর্ট ইত্যাদি) পাঠাতে হয়। কিন্তু সরকারি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিস্তারিত তথ্য-উপাত্ত পাঠাতে হয় না। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত কোটা অপূর্ণ থাকায় তা পূরণ করার সুযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, ধর্ম মন্ত্রণালয় ও মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তারা কীভাবে সরকারি কোটা পূরণ করা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন।