সাতক্ষীরার কলারোয়ার খোরদে ৪ চোর চক্রের সদস্য আটক, পুলিশে সোপর্দ

সাতক্ষীরার কলারোয়ার খোরদো এলাকায় গ্রামবাসীরা ৪ চোর চক্রের সদস্যদের ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে।

চোর চক্রের সদস্যারা হলেন, ডুমুরিয়ার দিন মোহাম্মদের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৫), কপিলমুনির ভোলা গাজীর ছেলে আসলাম গাজী(২২), তালার সাকাত আলীর ছেলে আশরাফুল (৪০), কলারোয়ার মানিকনগরের আতরজান শেখের ছেলে মোসলেম শেখ(৪০)।

জানাগেছে, (১৪ই এপ্রিল) শুক্রবার ভোরে কেশবপুরের গোপালপুরে চুরির সময় গ্রামবাসীদের ধাওয়া খেয়ে কপোতাক্ষ নদ পার হয়ে খোরদে এসে উঠলে গ্রামবাসীরা ৪ জনকে ধরে খোরদো পুলিশ ক্যাম্পে সোপর্দ করে।

একই দিন ভোর ৪টা নাগাদ তালার মানিকহার ও সেঁনেরগাতির রাস্তার মাঝে একদল ডাকাত রাস্তা আটকে ডাকাতি করে। ১টি মটর ভ্যান, ২০/৩০ হাজার টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে ভ্যান মালিক ও জয়নগরের পান বিক্রেতা আনন্দ দাসকে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

ভুক্ত ভোগী কলারোয়ার জয়নগরের আনন্দ দাসের কাছ থেকে জানাগেছে, তিনি প্রতিদিনের মত ভোর রাতে পান বিক্রির উদ্যেশ্যে মটরসাইকেল যোগে তালার পাটকেলঘাটায় যাচ্ছিলেন, ধানদিয়া চৌরাস্তা হয়ে ত্রিশমাইল রোড হয়ে, সেঁনেরগাতি বাজারের একটু পেছনে সুনসান রাস্তা, সেই রাস্তায় কয়েকজন ডাকাত তার পথ আটকে তার চোখে টর্চলাইট মেরে দাঁড়ানোর জন্য পথ আটকায়, মটরসাইকেল থামিয়ে দাঁড়ানোর সাথে সাথে মাথায় থাকা হেলমেট বরাবর লাঠি দিয়ে আঘাত করে ডাকাত দলের এক সদস্য, আহত আনন্দ দাসের পকেটে থাকা ৭শত টাকা ও একটি মোবাইল ফোন নিয়ে নেই, সেই সাথে তার মটরসাইকেল নিতে উদ্যাত হলে তিনি কৌশল খাটিয়ে চাবি খুলে ঝোপের মধ্যো ফেলে দেয় যার কারণে মটরসাইকেলটি নিতে পারেনি, তবে মটরসাইকেলের প্লাগ খুলে দিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে ডাকাত দলের সদস্যরা। তবে ভ্যান চালকের ভ্যানটি উদ্ধার করা যায়নি এবং চালকের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

পরে আনন্দ দাস ঝোপের মধ্যো থেকে অনেক কষ্টে চাবি উদ্ধার করে মটরসাইকেলটি চালু করে মাথার আঘাত নিয়ে পান বিক্রি করে, ধরাপড়া চোর চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে খোরদো পুলিশ ক্যাম্পে ছুটে যান। তবে ডাকাত সদস্যদের মুখে মাস্ক থাকায় তিনি তাদের চিনতে পারেননি। তবে এরা ৪ জন যে ঐ ডাকাত দলের সদস্য কিনা তা জানাযায়নি।

কলারোয়ার খোরদো পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ফিরোজ আলম কলারোয়া নিউজকে জানান, শুক্রবার ভোরে খোরদো গ্রামের লোকজন ৪ চোর চক্রের সদস্যদের ধরে, ক্যাম্পে জানালে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে কলারোয়া থানায় সোপর্দ করি। তবে তাদের কাছ থেকে চুরির কোন জিনিস পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।