সাতক্ষীরায় বিয়ের দাওয়াতে এসে ১৫ বছর পর মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে!

বরযাত্রীতে গিয়ে কনের বাড়ির এলাকায় ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়া মাকে খুঁজে পেলেন ছেলে আলামিন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চাঁদনীমুখা গ্রামে।

চাঁদনীমুখা বাজারে গিয়ে আলামিন লোকমুখে শুনতে পান গত দুই বছর ধরে বাজারের পরহেজগারে এক মানসিক ভারসাম্যহীন নারী থাকেন। বাজারের মানুষ যা ভিক্ষা দেয় তা দিয়েই চলে যায় দিন তার। খবর পেয়েই তিনি ওই নারীর কাছে ছুটে যান। এ সময় পরিচয় দেওয়ার দরকার হয় না। ছেলের মুখ দেখেই দু’চোখ দিয়ে জল ঝরতে থাকে মমতাময়ী মায়ের। ছেলেকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। নাম ধরে ডাকও দেন। ছেলেও হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন।
বাগেরহাট জেলার মংলা থানার জিরোধারাবাজি এলাকার ঘরখোল গ্রামের আলামিন জানান, তারা চার ভাই ও দুই বোন। তাদের মা গত ১৫ বছর আগে ব্রেনের সমস্যা নিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। সব কিছু মনে রাখতে পারেন না। ঝড় বৃষ্টির এক রাতে মা আবেদা বেগম (৬৯) বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এলাকায় মাইকিং, থানায় জিডি, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশসহ বহু স্থানে মাকে খোঁজা হয়। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বাস ছিল মা মরেনি। তিনি বেঁচে আছেন। তাই কোথাও গেলে সব কাজের ফাঁকে মাকে একটু খুঁজে দেখাটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

গাবুরা ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, পথ ভুলে এলাকায় আসা মানসিক ভারসাম্যহীন মাকে তার সন্তানেরা খুঁজে পেয়েছে। সন্তানদের কাছে পেয়ে মাও যেমন খুশি তেমনি গাবুরাবাসীও খুশি। ছেলের সাথে মাকে তার নিজ ঠিকানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।