সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে কৃষক আব্দুল লতিফ রেড কার্ডিনাল জাতের আলু চাষে সফল

সিরাজগঞ্জ বেলকুচি পৌর এলাকার বয়ড়াবাড়ী গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফের জমিতে রেড কার্ডিনাল বারী-৮ জাতের আলু চাষ করে সাফল্য অর্জন করেছেন।

কৃষক আব্দুল লতিফ বেলকুচি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে কৃষি কর্মকর্তার সহযোগিতায় এবং উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তমা আকন্দের তত্বাবধানে রেড কার্ডিনাল চাষে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১২০ মণ আলুর ফলন পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছেন।

কৃষক লতিফ এই প্রতিবেদককে জানান, অনেক আলু দেখেছি কিন্তু রেড কার্ডিনাল এতো ভালো জাতের আলু যা খাদ্য হিসাবে খুবই সুস্বাধু। এ আলু সাইজে অনেক বড় ও পাথরের মত ভারি এবং দুই থেকে তিনটি আলুতে প্রায় ১ কেজি ওজন হয়ে থাকে। প্রতি বিঘা আলু চাষে খরচ হয় ২৪/২৫ হাজার টাকা। আলু বিক্রি করছেন প্রায় ৯০ হাজার টাকা। কৃষক আব্দুল লতিফ আরও জানান তার নিজস্ব কোন জমি নেই অন্যের জমি বর্গা (কট) নিয়ে প্রায় ১ একর জমিতে এ রেড কার্ডিনাল চাষ করে সাফল্য অর্জন করেন। তার সার্বক্ষনিক পরিচর্যার জন্য এ সাফল্য অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ঐ গ্রামের একজন অভিজ্ঞ কৃষক।

এলাকার অনেক কৃষকদের মধ্যে তার নিজস্ব উৎপাদিত বীজ সরবরাহ করে থাকেন। তিনি শুধু আলু চাষই নয় ইতিপূর্বে উন্নত জাত ব্রি-৮১ ব্রি-৮৯ ধান চাষ করে অনেক সাফল্য অর্জন করেছেন। স্থানীয় বহু কৃষক আব্দুল লতিফের নিকট উন্নত জাতের আলু, ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষের পরামর্শ নিয়ে থাকেন বলে জানা যায়। কৃষক আব্দুল লতিফের আকাঙ্খা প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমার এ সাফল্যের জন্য তিনি নিজ হাতে পুরস্কৃত করলে আমার কৃষি জীবন স্বার্থক হতো।

বেলকুচি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সাইদী বলেন, রেড কার্ডিনাল জাতের আলু বেলে দোঁয়াশ মাটিতে খুব ভাল হয়। প্রতি বিঘা জমিতে ১ থেকে ১ শত ২০ মণ পর্যন্ত আলু হয়ে থাকে। ইতিমধ্যে বেলকুচিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শে অনেক কৃষক এ আলু চাষ করে সফল হয়েছেন। এদের মধ্যে পৌর এলাকার কৃষক আব্দুল লতিফ রেড কার্ডিনাল আলু চাষ করে প্রতি বিঘায় প্রায় ১২০মণ হারে আলু পেয়েছেন বলে তিনি জানিয়েছেন।