সিরাজগঞ্জে ভালোবাসার টানে ছুটে এসেছে ইন্দোনেশিয়ান তরুণী

ভালোবাসার টানে এবার সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ছুটে এসেছে ইন্দোনেশিয়ার এক তরুণী। ভালোবেসে বাংলাদেশী তরুণকে বিয়ে করে ঘর বেঁধেছেন সিতি নুরানী নামে ইন্দোনেশিয়ার ওই তরুণী।

সিতি নুরানী ইন্দোনেশিয়ার পারিজাত কুলন থানাধীন কেটরোসনা গ্রামের বাসিন্দা। মালয়েশিয়ার একটি ক্লিনিকে নার্স হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

জানা যায়, তিন বছর পূর্বে সিতি নুরানীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় মালেয়েশিয়ান প্রবাসী সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের নওজের আলীর ছেলে আনোয়ার হোসেন এর সাথে। এরপর তারা সেখানেই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। সম্প্রতি দেশে এসে আবার দেশীয় নিয়ম-নীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করেন এই দম্পত্তি।

ফেসবুকের বন্ধুত্ব থেকে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাংলাদেশে এসে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় মওলানার মাধ্যমে বাংলাদেশের রীতি ও মুসলিম শরিয়া মোতাবেক ৫০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।

ভিনদেশী পুত্রবধূ পেয়ে আনোয়ারের মা আবেগ কণ্ঠে বলেন, আমার পুত্রবধূ খুবই ভালো, সে আমাকে মা বলে ডাকে। বিদেশী পুত্রবধূর জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম পরিবারের মেয়ে সিতি নুরানীর সঙ্গে পরিচয়ের পর আমরা বিয়ে করেছি। আমার স্ত্রী আমাদের দেশ সম্পর্কে আমার কাছ থেকে জেনেছে। আমার পরিবার সম্পর্কে সব কিছু জেনে বাংলাদেশে আসে নুরানী। এরপর মঙ্গলবার শাহজাদপুরে বাংলাদেশের রীতি অনুযায়ী বিবাহ রেজিস্ট্রেশন করেছি।

সিতি নুরানী বলেন, বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়েই বিয়ে করি। স্বামীর সঙ্গে সুখে-শান্তিতে ঘর-সংসার শুরু করেছি। সবার কাছে দোয়া চাই। এখানে এসে খুব ভালো লাগছে।

এদিকে, আনোয়ারের ভিনদেশী বধূকে দেখতে প্রতিদিন স্থানীয় লোকজন আনোয়ারের বাড়িতে ভিড় করছেন।

শাহজাদপুর কৈজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খোকন বলেন, সম্প্রতি তারা বাড়িতে এসেছে এবং গতকাল দেশীয় নিয়ম-নীতি মেনে বিয়ে সম্পন্ন করেছেন। বিষয়টি এলাকার লোক পজিটিভলি নিয়েছেন এবং প্রতিদিনই অসংখ্য লোক তাদের দেখতে বাড়িতে ভিড় জমাচ্ছেন।