সিলেটে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টায় অভিযুক্ত ৬ জন গ্রেফতার

সিলেটের জকিগঞ্জ রারাই গ্রামে স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেনীর ছাত্রী কে অপহরণ ও ধর্ষনের ঘটনা দামা চাপার চেষ্টার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত জকিগঞ্জের রারাই গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে সালমান আহমদ (১৯) সহ ঘটনা সালিশের নামে দামাচাপা দেওয়ার চেষ্টার অপরাধে ৬ জন কে গ্রেফতার করেছে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ।

পুলিশের হাতে আটক যারা তারা হলেন- সেনাপতিরচক গ্রামের মৃত ফয়জুর রহমান এর ছেলে হেলাল আহমদ (৫০),রারাই গ্রামের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে এমএ হাফিজ খালেদ (৪০),একই গ্রামের মৃত কুতুব আলীর ছেলে সামছুল হক (৫৫),মৃত মনির আলীর ছেলে আব্দুর নূর ফরল (৭০),এবং আমলশীদ গ্রামের মৃত কুনুর আলীর ছেলে আব্দুস সালাম।

জানা যায় গত ৫ জুলাই (সোমবার) রাত অনুমান দশ ঘটিকার সময় রারাই গ্রামের দশম শ্রেনীর এক ছাত্রী তাকে ডাকা ডাকির শব্দ শুনে ঘর থেকে বের হলে তারই পার্শ্ববর্তী বাড়ির মৃত আফতাব আলীর ছেলে সালমান অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরদিন সালমানের পরিবার ভিকটিম কে তার বাডিতে দিয়ে যায়।

পরে বিষয়টি সালিশের নামে ধামাচাপা দিতে এলাকার প্রভাবশালী সহ আসামীর পরিবার কালক্ষেপণ করতে থাকে।

ঘটনাটি সংবাদপত্রের প্রকাশিত হলে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম এর নজরে আসে।

তিনি এ ঘটনায় জড়িত মূল আসামী সহ ঘটনাটি সালিশের নামে যারা দামাচাপা দিতে চেষ্টা করেছে তাদের সবাইকে দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

এর প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় নেতৃত্বে জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম সহ থানার একাদিক অফিসারে সমন্বয়ে একাধিক টিম গত ২৪ ঘন্টায় জকিগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত সালমান সহ ছয় জন কে গ্রেফতার করেছে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল জকিগঞ্জ থানায় মামলা রুজু হয়েছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর ও মিডিয়া) লুৎফর রহমান।